ওষুধ ব্যবসায়ী কোরোনা আক্রান্ত নন, স্বস্তিতে বারাসতের পাইকারি মার্কেট

মঙ্গলবার জ্বর নিয়ে ব্যারাকপুর কোরোনা হাসাপাতালে ভরতি হয়েছিলেন এক ওষুধ ব্যবসায়ী । তারপরই কোরোনা আতঙ্কে বারাসতের পঞ্চানন পাইকারি ওষুধ মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হয় । আজ সোয়াবের নমুনা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তিনি কোরোনা আক্রান্ত নন । আপাতত স্বস্তিতে মার্কেটের ওষুধ ব্যবসায়ীরা ।

বারাসত, 1 মে : কোরোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন এক ওষুধ ব্যবসায়ী । তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করতেও দেওয়া হয়েছিল । রিপোর্টে জানা যায়, তিনি কোরোনা আক্রান্ত নন । স্বস্তি বারাসতের ওষুধ ব্যবসায়ী মহলে ।

মঙ্গলবার হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর ওই ব্যবসায়ীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয় । তিনবারই পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । কোরোনা আক্রান্ত না হওয়ায় তাঁকে আজ বিকেলে ব্যারাকপুরের কোরোনা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । ওই ওষুধ ব্যবসায়ীর বারাসত স্টেশন সংলগ্ন পঞ্চানন মার্কেটে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে । এই মার্কেটে শ'খানেক পাইকারি ওষুধের দোকান রয়েছে । জরুরি পরিষেবার জন্য লকডাউনেও ওষুধ ব্যবসায়ীরা মানুষের কথা ভেবে দোকান খুলছিলেন । এরই মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি । জ্বর না কমায় তাঁকে ব্যারাকপুরের বেসরকারি কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । তারপরই কোরোনা আতঙ্ক ছড়ায় মার্কেটে । শেষে আলোচনা করে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা ।

পঞ্চানন মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল দেবনাথ বলেন, "ওই ব্যবসায়ীর কোরোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসা স্বস্তির খবর । আমরা বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে দেখছি, কত তাড়াতাড়ি মার্কেট খোলা যায় । যেহেতু ওই ব্যবসায়ী জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন, তাই প্রশাসনের তরফেও মার্কেট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল । সেই কারণে আমরা আলোচনা করে মার্কেট তিনদিন হল বন্ধ রেখেছি । কিছু সমস্যা তো হচ্ছেই । সমাধানের চেষ্টা চলছে ।"

বিষয়টি নিয়ে বারাসত পৌরসভার পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা সত্যিই স্বস্তির খবর । ওই মার্কেটকে ইতিমধ্যেই পৌরসভার তরফে স্যানিটাইজ় করা হয়েছে । তাই, মার্কেট খুলতে কোনও অসুবিধা নেই । তবে, ব্যবসায়ীদের লকডাউনের নিয়মবিধি মেনে চলতে হবে । ব্যবহার করতে হবে মাস্ক ও গ্লাভস ।"