বসিরহাট, 21 জানুয়ারি:ফের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বড়সড় সাফল্য পেল বিএসএফ। জোড়া পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করে ঘটনায় দুই পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। সূত্রের খবর, ধৃত আনিসুর মোল্লার কাছ থেকে মিলেছে প্রায় 8 লক্ষ বাংলাদেশি টাকা। বাবলু মোল্লা নামে অপর এক পাচারকারীর থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে (BSF Seized) প্রায় 60 লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট (Gold Biscuits Worth 60 Lakh) প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে। পরেরটি স্বরূপনগরের তারালি সীমান্তের।
দুই পাচারকারীকেই তুলে দেওয়া হয়েছে বসিরহাট এবং স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে। পরে তাদের গ্রেফতার করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া বিপুল টাকার সোনার বিস্কুট ও বাংলাদেশি ওই টাকা তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ ৷ জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে আনিসুর নামে ওই যুবক বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসছিল বিপুল অঙ্কের এই টাকা। তখনই সীমান্ত পারাপারের সময় টহলরত বিএসএফ জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ে যায় সে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আনিসুর হাসনাবাদের তকিপুর এলাকার বাসিন্দা। সে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের কর্মী। সেই বিনিময় কেন্দ্রের মালিক তপন রায় নামে এক ব্যাক্তি। তিনি আবার ঘোজাডাঙা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা। তপনের ছেলে তন্ময় রায় বিপুল এই বাংলাদেশি টাকা দিয়েছিল আনিসুরের হাতে । সেই টাকায় সে নিয়ে যাচ্ছিল মালিক তপন রায়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যে। কিন্তু তার আগেই পাচারের ছক ব্যর্থ হয় বিএসএফের তৎপরতায়।হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় আনিসুর। বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে বিপুল যে 8 লক্ষ বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা এখানে এনে মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে বদল করাই ছিল আনিসুরের মূল উদ্দেশ্য। যদিও তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি কেবলমাত্র সীমান্তরক্ষী বাহিনী সজাগ থাকায়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে পাচারের আগেই বিএসএফের হাতে 50 লাখ টাকার সোনার বিস্কুট
এদিকে, এই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই স্বরূপনগরের তারালি সীমান্তের কাছে বাবলু মোল্লা নামে এক পাচারকারীর থেকে মেলে প্রায় 60 লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় তিনি কৃষক। তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটক করতেই মিলেছে এই সাফল্য। ওই পাচারকারীর থেকে মোট আটটি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ওজন প্রায় 933 গ্রাম। বিপুল টাকার এই সোনার বিস্কুট ঠিক কোথায় ধৃতের পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল, তা তদন্ত করে দেখছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে ধৃত বাবলুর সঙ্গে আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।