পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Student Body Recovered: পাঁশকুড়ায় রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ

প্রজেক্ট আনতে যাওয়া কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় পড়ুয়া। এরপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার ক্ষীরাই স্টেশনের কাছে রেললাইনের পাশ থেকে ছেলের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের খবর আসে পড়ুয়ার হাবড়ার বাড়িতে।

Etv Bharat
মৃত ছাত্র স্বাগত বনিক

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 6, 2023, 5:51 PM IST

স্বাগত বনিকের বাবা

হাবড়া, 6 সেপ্টেম্বর: প্রজেক্ট আনতে যাওয়া কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ হয়েছিল পড়ুয়া। একদিন পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার ক্ষীরাই রেল স্টেশনের কাছে রেল লাইনের পাশ থেকে পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের খবর আসে হাবড়ার বাড়িতে। নিহত এই পড়ুয়ার নাম স্বাগত বনিক। শিয়ালদা সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বাগত। ছোট থেকে এলাকায় মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত এবং শান্ত স্বভাবের বলেও স্থানীয়দের দাবি ৷ মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনার পর অবশ্য বন্ধুদের দিকে আঙুল তুলছেন স্বাগত'র বাবা।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, 19 বছর বয়সি স্বাগত ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকের পর শিয়ালদা সুরেন্দ্রনাথ কলেজে স্ট্যাটিসটিক্সে অনার্স নিয়ে ভরতি হন। স্বাগতর বাবা বুধবার জানান, ছেলে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে। শিয়ালদায় প্রজেক্ট বাইন্ডিং করতে দেওয়া আছে আনতে যাচ্ছে, বাড়িতে এমনটাই জানিয়ে রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাবড়ার বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল স্বাগত। রবিবার সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়ি ফিরছে না-দেখে দুশ্চিন্তায় পরে পরিবার। এরপর মধ্যরাতে হাবড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে স্বাগত'র পরিবার।

সোমবার রাত ন'টা নাগাদ পাঁশকুড়া রেল পুলিশের পক্ষ থেকে খবর আসে রেললাইনের পাশ থেকে স্বাগত'র ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তমলুক জেলা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। রাতেই স্বাগতর পরিজনরা পূর্ব মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মঙ্গলবার স্বাগত'র নিথর দেহ নিয়ে আসে বাড়িতে। পরিবারের এক মাত্র ছেলের মৃত্যুতে মা-বাবা আত্মীয় পরিজন থেকে পড়শীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। ছেলের এভাবে মৃত্যুর পিছনে সহপাঠীরাই রয়েছে বলে দাবি স্বাগত'র বাবা গৌতম বণিকের।

আরও পড়ুন: ইডির আবেদনের পক্ষেই রায়, আসানসোল থেকে সরে গরুপাচার মামলা দিল্লির পথে

তিনি বলেন, "ছেলের নিখোঁজ ডায়েরি করার পরে আবারও থানায় গিয়েছিলাম। সেই সময় পাড়ার একজন তাঁকে থানায় গিয়ে বলেন, সব শেষ! বাড়ি চলুন।" গৌতমবাবু আরও বলেন, "পাঁশকুড়া সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাই নেই। আমার মনে হচ্ছে, এর পিছনে ওর কোনও বন্ধুবান্ধবের কোনও পরিকল্পনা আছে। ও তো চলে গিয়েছে, আর ফিরবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে আর কোনও মা বাবাকে যাতে এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে না হয়ে, সে জন্য প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। প্রশাসনের পক্ষেই একমাত্র সম্ভব সত্য বার করা।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details