বসিরহাট, 26 ফেব্রুয়ারি:ওড়িশায় পথ দুর্ঘটনায় নিহত সাত শ্রমিকের দেহ ফিরল রাজ্যে । রবিবার পড়শি রাজ্য ওড়িশা থেকে মৃত সাত শ্রমিকের নিথর দেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে এসে পৌঁছায় উত্তর 24 পরগনার বসিরহাটের গ্রামে । সাইরেন বাজিয়ে সাত শ্রমিকের দেহ এদিন গ্রামে প্রবেশ করতেই কান্নার রোল ওঠে নেহালপুর সরদার পাড়ায় । প্রিয়জনদের হারিয়ে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা । নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এবং তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এদিন শোকস্তব্ধ ওই গ্রামে যান রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম, সপ্তর্ষি বন্দোপাধ্যায়, দলের প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা (migrant workers died in Odisha)।
এদিন নিহতদের পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের তরফে দু'লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এছাড়াও প্রত্যেক পরিবারকে দশ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে দলীয়ভাবে । সেই সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাও যাতে নিহতের পরিবার ঠিকঠাকভাবে পায় সেদিকে জেলা প্রশাসনকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন নিত্য প্রয়োজনীয় বেশকিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারের হাতে (Basirhat migrant workers) ।
দুপুরে শবদেহ পৌঁছানোর পর গ্রামেই ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে কবর দেওয়া হয় নিহত ওই সাত শ্রমিককে । এই বিষয়ে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,"ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক । মুখ্যমন্ত্রী নিজেও মর্মাহত । তাঁরই প্রচেষ্টায় ওড়িশা থেকে সাত শ্রমিকের নিথর দেহ এদিন বসিরহাটের গ্রামে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সে করে । একটি মৃতদেহের ময়না তদন্ত নিয়ে প্রথমে সমস্যা দেখা দিয়েছিল । পরে,স্পেশাল অনুমতি করিয়ে ওই শ্রমিকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করাতে সমর্থ হয়েছি আমরা । তারপরই ভোররাতে মৃতদেহগুলি নিয়ে ওড়িশা থেকে রওনা হয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে । "।