বিধাননগর, 7 সেপ্টেম্বর: দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় (Baguiati Double Murder case) সঠিক তদন্তের দাবিতে বাগুইআটি থানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা (BJP women wing protest at police station) ৷ ইতিমধ্যে তাঁরা থানার ভেতরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন ।
গত মাসের 22 তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর নামে দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । এরপরেই তাদের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসে ।
বিষয়টি নিয়ে দুই ছাত্রের পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয় । কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবেই সাহায্য করেনি অপহৃত ওই ছাত্রদের খুঁজে বের করতে ৷ সোমবার রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে । মঙ্গলবার দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা তাদের দেহ শনাক্ত করেন ৷
এই ঘটনায় পুলিশের উপর ক্ষোভ বেড়েছে দুই ছাত্রের পরিবার ও এলাকাবাসীর ৷ জানা গিয়েছে, দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার হয় 23 অগস্ট, আরেকজনের 25 অগস্ট ৷ তারপর থেকে দেহ দুটি বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকলেও কেন পুলিশের সেই খোঁজ পেতে এতদিন সময় লাগল, সেই প্রশ্ন উঠেছে ৷
আরও পড়ুন:বাগুইআটির অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ মিলল বসিরহাটের মর্গে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
জানা গিয়েছে, অতনু দে বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয় । পরে আরও টাকার দাবি করে সত্যেন্দ্র । সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে অতনু । এরপর 22 অগস্ট বাইক কেনার জন্য অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে ডেকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র চৌধুরী । তারপর থেকে অতনু এবং অভিষেক- দু'জনেই নিখোঁজ হয়ে যায় । পুলিশের দাবি এরপরেই খুন করা হয় ওই দুই ছাত্রকে ৷ এরা সম্পর্কে মামাতো ও পিসতুতো ভাই । 24 অগস্ট বাগুইআটি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন অতনুর বাবা বিশ্বনাথ দে । বিশ্বনাথ দে'র ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসতে থাকে ।