পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

রামের পুজোয় সম্প্রীতির বার্তা মধ্যমগ্রামে

মধ্যমগ্রামে হিন্দু ও মুসলিমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রামের পুজো করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন । উদ্দেশ্য একটাই, সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া ।

BJP Minority Cell
BJP সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে চলছে রামের পুজো

By

Published : Aug 6, 2020, 1:48 AM IST

মধ্যমগ্রাম, 5 অগাস্ট : রামের পুজোতে সম্প্রীতি ও একতার ছোঁয়া । হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রামের পুজো করে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন । স্লোগান উঠল, "হিন্দু ও মুসলিম ভাই ভাই" । একসঙ্গে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনিও । উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামের ঘটনা । অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর দিনে এমনই সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তাঁরা ।

মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপল্লি এলাকা । সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা হিসেবেই পরিচিত । লকডাউনের মধ্যে এখানেই আয়োজন করা হয় রামের পুজোর । উদ্যোক্তা BJP-র সংখ্যালঘু সেল । রীতিমতো রাস্তার ধারে প্যান্ডেল করে মঞ্চ বেঁধে আয়োজিত হয় রামের পুজো । এই পুজোকে ঘিরে সকাল থেকেই এলাকায় ছিল মানুষের উন্মাদনা । পতাকা লাগানো, পুজোর ব্যবস্থা চলতে থাকে সমান তালে । এলাকার অনেক হিন্দু পরিবার অংশগ্রহণ করেছিল পুজোতে । বিশেষ করে মহিলাদের সক্রিয়তা ছিল নজর কাড়ার মতো । পুজোর ফল কাটা শুরু করে শঙ্খধ্বনি-সহ সবই চলে । পুজোর শেষে প্রসাদ ও লাড্ডু বিতরণ করা হয় ।

হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির বার্তা মধ্যমগ্রামে
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার দুপুরে বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পূজোর শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি । আর সেই উপলক্ষ্যে মধ্যমগ্রামে রামের পুজো হয় । হিন্দু ও মুসলিমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রামের পুজো করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন । উদ্দেশ্য একটাই সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া ।
BJP সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে চলছে রামের পুজো
এই বিষয়ে শেখ আজ়াদ নামে এক বাসিন্দা বলেন, "আমাদের এই এলাকা শান্তিপ্রিয় । এখানে হিন্দু ও মুসলিম সকলেই মিলেমিশে থাকেন । আমাদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই । একে অপরের বিপদে পাশে থাকি । ওঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমরা যেমন অংশগ্রহণ করি, তেমনই আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ওঁরা অংশগ্রহণ করে । এই ঐক্য কেউ ভাঙতে পারবে না । তাই, BJP-র সংখ্যালঘু সেলের অনুষ্ঠান হলেও অনেক হিন্দু পরিবার তাতে অংশগ্রহণ করেন ।" তাঁর কথায়, "বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অনেক হিন্দু ও মুসলিম ভাই মারা গেছিলেন । তাই নতুন করে কেউ আর অশান্তি চায় না । রাম ছিলেন একতার প্রতীক । সেই একতা নিয়েই আমাদের চলা উচিত ।"

এদিকে, এই বিষয়ে BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রাজীব খান কাজি নজরুলের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, "আমরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান ।এই ভাবনাচিন্তা থেকেই বিশেষ এই দিনে রামের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে । দীর্ঘ দিনের বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আজ অযোধ্যায় ভূমি পুজো হল । এটা সকলের কাছে আনন্দের বিষয় । অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে । তাই রাম ও রহিমের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই বলেই আমরা মনে করি । রাম রামের মতো চলবে । রহিম রহিমের মতো চলবে । তাই তো এই পুজোতে সবাই অংশগ্রহণ করেছিলেন ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details