গোপালনগর, 4 সেপ্টেম্বর : ফের রাজ্যে খুন বিজেপি নেতা ৷ উত্তর 24 পরগনার গোপালনগর থানার নহাটা 87-এর কাকডাঙ্গা এলাকার ঘটনা । অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ মৃত বিজেপি নেতা অরুণকুমার সরকার ওরফে সুজয় (56) চারবারের পঞ্চায়েত সদস্য । অতীতে পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও ছিলেন তিনি । বর্তমানে তিনি দিঘাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা । তবে বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল ।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 31 অগস্ট নহাটা বাজার সংলগ্ন চৌবেড়িয়া 2 নম্বর পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি ছিল । সেই ভোটে প্রচুর মানুষ জড়ো করেছিল তৃণমূল । তারা পুলিশের মদতে বিজেপির নেতা-কর্মীদের হেনস্থা করেছিল বলে অভিযোগ ৷ সেখানে অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দিঘাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অরুণকুমার সরকারও উপস্থিত ছিলেন । ভোটাভুটি শেষে বিকেলে নহাটা বাজার থেকে গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অরুণবাবু । অভিযোগ, সেই সময়ই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা পিছন থেকে লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করে ৷ তাঁর বুকে পিঠে আঘাত লাগে । আহত অবস্থায় ওই বিজেপি নেতাকে পাল্লা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান দলের কর্মীরা । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় । শনিবার ভোররাতে হঠাৎ তাঁর বুকে, পিঠে যন্ত্রণা শুরু হয় । হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷
স্বামীর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই বিজেপি নেতার স্ত্রী শিবানী সরকার ৷ তিনি বলেন, "চৌবেড়িয়া 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা ভোটাভুটির দিন আমার স্বামীকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা মারধর করে । সেই মারধরের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ।" এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি । এই বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, "তৃণমূলের লোকেরা অরুণকুমার সরকারকে মারধর করে ৷ তিনি মারধর সহ্য করতে পারেননি ৷ যে কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে । দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।"