হাড়োয়া, 25শে এপ্রিল: ভোট-পরবর্তী অশান্তি অব্যাহত উত্তর 24 পরগণায় । এবার জয় শ্রী রাম না বলার অপরাধে তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের এক নেতাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে । আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতার নাম কার্তিক মণ্ডল । ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাড়োয়ার আটপুকুর পঞ্চায়েতের ফেরিঘাট এলাকায় । ওই তৃণমূল নেতাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন দলের আরও পাঁচ কর্মী ।
জয় শ্রী রাম না বলায় হাড়োয়ায় তৃণমূল নেতাকে মারধর, অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির - Joy Shri Ram
জয় শ্রী রাম না বলার অপরাধে তৃণমূল নেতাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় বিজেপি । বাঁচাতে এসে দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত তৃণমূলের আরও পাঁচ কর্মী। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির।
আটপুকুর ফেরিঘাট অটো ইউনিয়নের দায়িত্বে রয়েছেন বছর পয়তাল্লিশের কার্তিক মণ্ডল । অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন স্থানীয় কয়েকজন কর্মী বলে অভিযোগ । এমনকি জয় শ্রী রাম বলার জন্য ওই তৃণমূল নেতাকে জোরাজুরি করা হত বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তিনি দলবদল করেননি । রবিবার বিকালেও একই ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের নেতা কার্তিক মণ্ডলকে । এদিনও তাকে জয় শ্রী রাম বলতে জোরা করা হয় বলে অভিযোগ । কিন্তু তা না বলার অপরাধে বিজেপির স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হতে হয় ওই তৃণমূল নেতাকে । অভিযোগ, রাস্তায় ফেলে তাঁকে এলোপাথাড়ি মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা । চড়,লাথি ও ঘুষির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁকে বাঁচাতে এসে দুষ্কৃতীদের রোষানলে পড়েন দলের আরও পাঁচজন কর্মী । তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয় । এরপর চিৎকার-চেঁচামেচিতে এলাকার লোকজন জড়ো হওয়ার আগেই সেখান থেকে চম্পট দেয় হামলাকারীরা । আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় আহত তৃণমূল নেতা সহ প্রত্যেককেই ।
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মিজানুর রহমান বলেন, "অভিযুক্তরা এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে হাজতবাস করেছে । তারপরও শুধরোয়নি বিজেপির ওই দুষ্কৃতীরা । এদিনও জয় শ্রী রাম না বলার অপরাধে তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের এই নেতাকে মারধর করা হয় । তাকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন তারই পাঁচ সহকর্মী । আমরা পুলিশকে জানিয়েছি বিষয়টি । আশা করব,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ প্রশাসন ৷" যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ঘটনার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেত্রী নীলিমা দেসরকার । বিষয়টি নিয়ে হাড়োয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে । অভিযুক্তদের ধরতে সব রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে ।