দত্তপুকুর, 19 জুন:শুভেচ্ছায় না ৷ আগে শান্তিপূর্ণ ভোট, পরে সৌজন্য ৷ প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর দিয়ে আশ্বস্ত করলেন তৃণমূল বিধায়ক ৷ বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে ফুলের তোড়া এবং মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। কিন্তু, সেই শুভেচ্ছা বিনিময় আদৌ সুখকর হল না তৃণমূল প্রার্থীর কাছে। কার্যত প্রচারের প্রথমদিনই হোঁচট খেতে হল তৃণমূল প্রার্থীকে। তাঁর দেওয়া ফুলের তোড়া গ্রহণ করলেও মিষ্টির প্যাকেটে কিন্তু হাতই ছোঁয়ালেন না বিজেপি প্রার্থী সোমনাথ দাস। উলটে, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিকে মনে করালেন, 21 সালের ভোট পরবর্তী হিংসার কথা। বিজেপি প্রার্থীর স্পষ্ট দাবি, 'আগে শান্তিপূর্ণ ভোট। পরে মিষ্টি ৷'
সৌজন্য বিনিময়ে গিয়ে রীতিমতো অস্বস্তির মুখে পড়তে হয় তৃণমূল প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামীকে। শেষে নিজের ব্যাক্তিগত ফোন নম্বর দিয়ে তিনি বিজেপি প্রার্থীকে আশ্বস্ত করে বলেন, "সমস্যা হলে যোগাযোগ করবেন ৷ আমার সঙ্গে ৷" বিরোধী প্রার্থীর প্রচারে যাতে কোনও বাধা না-আসে তারও নিশ্চয়তা দেন তিনি। যদিও তাতে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিজেপি প্রার্থীর মনে। উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের 25 নম্বর আসন থেকে এবারে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিদায়ী বোর্ডের পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী। গতবার ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তিনি লড়াই করলেও এবার কিন্তু তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা লড়ছেন দত্তপুকুর এক, দুই এবং কাশিমপুর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে। নারায়ণবাবুর বিপরীতে এই আসন থেকে লড়াই করছেন সিপিএমের চন্দন কুমার ঘোষ ও বিজেপির সোমনাথ দাস।
এছাড়াও বিএসপি-সহ অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলাপরিষদের 25 নম্বর আসন থেকে। যদিও এদের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামী। তবু প্রচারে কোনও ঘাটতি রাখতে চান না তিনি। তাই সদলবলে সোমবার বিড়া জয়পুলে প্রচার সারেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রথমেই তিনি যান স্থানীয় একটি দরগাহে। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নারায়ণ। এরপর তিনি সোজা চলে যান জাগ্রত একটি মায়ের মন্দিরে। সেখানে পুজো দেওয়ার পর ফুলের স্তবক এবং মিষ্টি নিয়ে সটান হাজির হয়ে যান তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম ও বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে।