বারাসত, 4 সেপ্টেম্বর : বিজেপি দলে কোনও ভাঙন ধরেনি । যাঁরা তৃণমূল থেকে একসময় ভারতীয় জনতা পার্টিতে এসেছিলেন, তাঁরাই আবার ঘাসফুল শিবিরে ফিরে যাচ্ছেন । এতে দল এতটুকু বিচলিত নয়, বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে চলে যাওয়া নিয়ে শুক্রবার এমন মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ৷
শুক্রবার বিকেলে বারাসতের চন্দনপুরে নিহত দলীয় নেতা মহম্মদ আলির বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী । সেখানে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে নিহতের স্ত্রী সেলিমা খাতুনের হাতে দলের তরফে 5 লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি । এছাড়া নতুন জামাকাপড়, বেশকিছু খাদ্যসামগ্রীও দেওয়া হয় নিহতের পরিবারকে । এরপর সাংবাদিকদের সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি ৷
বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূল প্রত্যাবর্তন
তাঁর দলবদলে ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও ক্ষতি হবে না । প্রভাব পড়বে না বনগাঁর দলীয় সংগঠনেও । বাগদা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হলে বিজেপি-ই জিতবে । এটা সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি । বিশ্বজিৎ দাসকে টিকিট দিতে বারণ করেছিলাম । কিন্তু তারপরও বাগদা কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে । কী কারণে টিকিট দেওয়া হল, সেটা আর বলছি না । তবে, যাঁরা বিশ্বজিতকে টিকিট দিয়েছিলেন, তাঁরাও হয়তো এখন তৃণমূলে চলে গিয়েছেন ।
বনগাঁর রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে । বিজেপি দলের অভ্যন্তরে খেয়োখেয়ি, দল ছাড়ার হিড়িক লেগেই রয়েছে । এমনকি, দলীয় কোন্দলও একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে । বনস্পতি দেবের নাম উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হলে উত্তর না দিয়ে কার্যত উঠে যান ৷ তবে তিনি নিশ্চিত যে বনগাঁ লোকসভা, বনগাঁ সাবডিভিশন ঠিক আছে ৷
মহামান্য আদালত যে রায় দিয়েছে, তাকে সর্বোচ্চ রায় হিসেবে গণ্য করে আমরা সেভাবে চলতে চাইছি ৷ সিবিআই প্রতিটি মামলার তদন্ত করে দোষীদের সাজা দিক, সেটাই আমরা চাই । বারাসত পশ্চিম মণ্ডলের সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি মহম্মদ আলী ৷ তাঁকে নির্মম ভাবে মারা হয়েছে ৷ এটা নিয়েও খুব শীঘ্রই সিবিআই তদন্তে নামবে ৷ আমরাও তৎপর হচ্ছি ৷ দু'জন দোষী ধরা পড়েছে ৷ তারা শাস্তি পাক, সেটা নিয়ে আমরা তৎপর হচ্ছি ৷