বারাসত, 26 এপ্রিল : অবাধ ভোটদানে কেউ বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটলে কোনও দুষ্কৃতীর মৃত্যু হলে সেটা দুঃখজনক হতে পারে । কিন্তু দুষ্কৃতীর মৃত্যুর চেয়ে গণতন্ত্র সবার আগে ।সেখানে দুষ্কৃতীর মৃত্যু বড় হতে পারে না । নাম না করে ফের শীতলকুচির প্রসঙ্গ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোকে পক্ষান্তরে সমর্থন করলেন হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, "যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক । তবে, তার জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উস্কানিই দায়ী । তিনি যেভাবে উস্কানি দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করে, হামলা চালানোর কথা বলছেন, তা কোনও সভ্য সমাজে হতে পারে না ৷" মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই শীতলকুচিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা।
করোনা আবহে সোমবার দুপুরে আচমকাই দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বারাসত সরকারি মহাবিদ্যালয়ের স্ট্রং রুম পরিদর্শনে আসেন হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী । অভিযোগ ওঠে, কমিশনের নির্দেশ অমান্য করেই তিনি দলবল নিয়ে স্ট্রং রুমের ভিতর প্রবেশ করেন । যদিও তার দায় দলের অতি উৎসাহী কর্মী-সমর্থকদের ঘাড়েই ঠেলেছেন বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা । তাঁর কথায়, "বারাসতে কাজে এসেছিলাম । হাবড়ায় যাওয়ার আগে হাতে সময় থাকায় স্ট্রং রুম পরিদর্শন করলাম । আমাকে দেখে যদি কেউ ভিড় করে থাকে তার দায়িত্ব তো আমার নয় ? কিছু উৎসাহী কর্মী-সমর্থক এটা করেছে । তাঁরা জানেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে । সেই কারণে হয়তো আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা ৷" তবে এর মধ্যে দোষের কিছু দেখতে পারছেন না বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা । তিনি বলেন, "এরকম কি ভিড় তো অন্যান্য জায়গাতেও হচ্ছে ! বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের সভা সমিতিতে !"
এরপরই রাজনৈতিক হিংসা, তার জেরে মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী । রাহুল সিনহার মতে, "ভোটে হিংসায় যে মৃত্যু হচ্ছে, তার জন্য দায়ী মমতা বন্দোপাধ্যায়ই । কারণ, উনি ধর্মীয় জিগির তুলছেন । উস্কানি দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে খেপাচ্ছেন । বলছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে হবে । তাদের উপর হামলা চালাতে হবে । তৃণমূল ও মমতা বন্দোপাধ্যায় ভালোভাবে জানেন, মানুষের ভোটে জিততে পারবেন না । তাই গুন্ডাদের দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি এবারও করতে চেয়েছিল তারা । যা হতে দেয়নি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন । মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছে এবার । সেই ভোটদানে বাধা দিলে কোনও দুষ্কৃতীর মৃত্যু হলে সেটা দুঃখজনক হতে পারে । কিন্তু গণতন্ত্রের চেয়ে বড় নয় ৷"