স্বরূপনগর, 19 এপ্রিল : "সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতেই শুভেন্দু, মুকুল ও রাজীবকে উপহার হিসাবে বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন দিদিমণি । সরকার গঠনে এই দিদিমণিই আবার বিজেপিকে প্রয়োজনে বিধায়ক দিয়ে সহযোগিতা করবেন । সেটাও হবে সিবিআই জুজুর থেকে রক্ষা পেতে । তাই জোড়াফুলের কারখানায় তালা দিলেই পদ্মফুলের চাষ বন্ধ হয়ে যাবে ।" সোমবার বিকেলে উত্তর 24 পরগনার স্বরূপনগরে এক নির্বাচনী সভায় এসে এমনই মন্তব্য করেন আইএসএফের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি ।
আব্বাস এদিন বলেন, "জোড়াফুলের কারখানাতেই চাষ হচ্ছে পদ্মফুলের । তাই পদ্মফুলকে আটকাতে হলে আগে জোড়াফুলের কারখানায় তালা ঝোলাতে হবে । তাহলেই দেখবেন বাজারে আর পদ্মফুল পাওয়া যাচ্ছে না ৷" তৃণমূল এবং বিজেপিকে রুখতে সংযুক্ত মোর্চার হাত শক্ত করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি ।
স্বরূপনগরের সভায় মমতাকে খোঁচা আব্বাসের ৷ এদিন স্বরূপনগরের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডলের সমর্থনে ওই সভায় যোগ দেন আব্বাস ৷ তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই স্বরূপনগরের তৃণমূল প্রার্থী এবং বিদায়ী বিধায়ক বীণা মণ্ডলকেও এদিনের সভা থেকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "জোড়াফুলের আশ্চর্য একটি সিস্টেম রয়েছে । যাঁরা সেখানে বড় হন, পরে বয়স হলে তাঁরাই যোগ দেন পদ্ম শিবিরে ৷" উদাহরণস্বরূপ শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দোপাধ্যায়, মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন আইএসএফ প্রধান ।
আরও পড়ুন: রাজ্যে রুচি, সংস্কৃতি নষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ; কটাক্ষ বাবুলের
তাঁর কথায়, "এঁরা সকলেই জোড়াফুলে বড় হয়েছেন । আর একটু বয়স হলেই পদ্মফুলে নাম লিখিয়েছেন । তাই যাতে জোড়াফুল বড় হতে না পারে তার আগেই গোডাউন বন্ধ করে দিতে হবে । তা হলেই বিজেপিকে রোখা যাবে ৷" এই বিষয়ে নাম না করে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বিদ্রুপও করেছেন আব্বাস । মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "বিজেপির কেউ যদি বলেন, দিদি খিদে পেয়েছে । ওমনি দিদিমণি সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে গিফট হিসেবে মুকুল, শুভেন্দু এবং রাজীবকে পাঠিয়ে দিলেন বিজেপিতে ৷"