হাসনাবাদ, 29 মার্চ : দলীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিজেপির হাতে আক্রান্ত হলেন তিন তৃণমূল কর্মী । উঠেছে বোমাবাজির অভিযোগও । আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মীদের নাম গোবিন্দ দাস,দিগম্বর দাস ও নারায়ণ সরকার । ঘটনার জেরে রবিবার উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর 24 পরগণার হাসনাবাদ এলাকায় । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় ।
তৃণমূলের অভিযোগ, "ভোটের মুখে এলাকা অশান্ত করতে পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালানো হয়েছে "।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার জন্য পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে স্থানীয় গেরুয়া শিবির ।
আরও পড়ুন :নন্দীগ্রামে বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু, দেখানো হল কালো পতাকা
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে হাসনাবাদের ভাণ্ডার খালির রাস্তার ধারে দলের পতাকা টাঙাচ্ছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা । সেই সময় অতর্কিতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ । ছিড়ে দেওয়া হয় দলীয় পতাকা । হামলার সময় দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই সশস্ত্র ছিল বলে তৃণমূলের অভিযোগ । ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ।
ঘটনায় আক্রান্ত তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস বলেন, " বিজেপি নেতা লিয়াকত গাজী ও উজ্জ্বল দাসের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় আমাদের উপর । বেশিরভাগই মদ্যপ অবস্থায় ছিল ওরা । মারধরের পাশাপাশি দলের পতাকা ছিড়ে ফেলে দেওয়া হয় মাটিতে । আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেছি, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে " ।
দলীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির যুব মোর্চার নেতা পলাশ সরকার বলেন,"তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে । ওদের অস্তিত্ব বিপন্ন । তাই নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে । আমরা হামলার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই "।
আরও পড়ুন :"ভোটারদের ভয় দেখাতে পুলিশের উর্দি কিনেছে বিজেপি", ঠাকুরচকে অভিযোগ মমতার
অন্যদিকে,মিনাখাঁর পুটখালি গ্রামে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতা সোমনাথ সরদার ও তাঁর স্ত্রীকে বেদম প্রহারের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে । ঘটনার জেরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকা জুড়ে । দুটি ঘটনার অভিযোগই খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।