দত্তপুকুর, 7 জুলাই: আগামিকাল পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ এখনও নিয়মের বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর্ব চলছে ! পঞ্চায়েতে দু'টি আসনে একই মহিলা প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়েছিল বিডিও অফিসে ৷ একই প্রার্থীর কাছ থেকে পৃথক আসনে দু'টি মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছিল ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে এমনটা করা যায় না। মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার 16 দিন পর অবশেষে ঘুম ভাঙল প্রশাসনের ৷ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার থেকে শুরু করে স্ক্রুটিনি, প্রার্থীর প্রতীক দেওয়া নামের ব্যালট ছাপানো- সব পর্ব মিটে গিয়েছে ৷ এতকিছুর পর বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় অতিরিক্ত একটি আসন থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের মহিলা প্রার্থীকে বিডিও অফিসে ডেকে ফর্মে স্বাক্ষর করিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হল ৷
প্রার্থীর নাম রোজিনা বিবি ৷ ফরওয়ার্ড ব্লকের এই প্রার্থী ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে গ্রাম সংসদের 1 নম্বর এবং পঞ্চায়েত সমিতির 12 নম্বর আসনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেন ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়মে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে কোনও প্রার্থী একটির বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে করতে পারবেন না ৷ লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক আসন থেকে লড়াই করা গেলেও এক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে পঞ্চায়েত সমিতির 12 নম্বর আসন থেকেই শুধু লড়তে হবে রোজিনাকে । রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে গ্রাম সংসদের 1 নম্বর আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে তাঁকে ৷ এই ঘটনায় বিডিও অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ তাঁর নজর এড়িয়ে রেজিনা বিবি কীভাবে দু'টি আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এবং প্রশাসন তা গ্রহণও করল ? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের 60 হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা নিয়ে সংশয়ে কমিশন
এ প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী রোজিনা বিবি জানান, তাড়াহুড়োয় দু'টি আসনে হয়তো মনোনয়ন দাখিল হয়েছে ৷ সেটা দেখার দায়িত্ব রিটার্নিং অফিসারের ৷ স্ক্রুটিনির সময়ও এই বিষয়টি নজরে পড়ল না ব্লক প্রশাসনের ৷ এখন তাদের মনে পড়েছে, অতিরিক্ত একটি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হল ৷ রেজিনা বিবি এতদিন দু'টি আসনেই প্রচার সেরেছেন ৷ এখন ভোটাররা বুঝতে পারছেন না, ওই প্রার্থী ঠিক কোন আসন থেকে দাঁড়িয়েছেন ৷