বারাসাত, 4 মার্চ: সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ তার আগে বারাসতের মহাত্মা গান্ধি স্কুলের বেশ কিছু ছাত্রের অ্যাডমিট কার্ড আটকে দেওয়া হল ৷ ছাত্রদের বড় চুলই পরীক্ষায় বসায় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে ৷
সম্প্রতি বনগাঁর একটি স্কুলের ছাত্রদের বাহারি এবং বড় চুলের ছাঁট নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক । শেষে নিজের হাতেই কাঁচি দিয়ে ছাত্রদের বাহারি চুলের ছাঁট কেটে দিয়েছিলেন তিনি । এবার বারাসাতের মহাত্মা গান্ধি স্কুলের কয়েকজন ছাত্রের বড় চুলের স্টাইলে স্কুলের সম্মান নষ্ট হতে পারে, এই কারণ দেখিয়ে ছাত্রদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার অ্যাডমিট আটকে দিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ছাত্ররা ৷
বারাসতে বাংলা-মাধ্যম স্কুল গুলির মধ্যে অন্যতম এটি ৷ প্রতি বছরেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করে ছাত্ররা । স্কুলের সুনামও রয়েছে যথেষ্ট । কাল ছিল এডমিট কার্ড দেওয়ার দিন । সেই অনুযায়ী দুপুরেই ছাত্ররা স্কুলে আসে । স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, 80 শতাংশ ছাত্রদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়ে গেছে । অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার আগেই অবশ্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঘোষণা করে জানিয়ে দেন, যাদের বড় চুল আছে, তাদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না । ছোটো করে চুল কাটিয়ে এলে তবেই অ্যাডমিট কার্ড নিতে দেওয়া হবে । এরপর স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে চিৎকার করতে থাকে ছাত্ররা ।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বলেন, ''মাঝের সময়ে প্রধান শিক্ষক অবশ্য বড় চুল নিয়ে আপত্তি করেছিলেন । কিন্তু তারজন্য সেভাবে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি । এছাড়া আমাদের আগে নোটিশও দেওয়া হয়নি । এখন অ্যাডমিট কার্ড নেওয়ার সময় এই কথা বলছেন । আমরা চাই আজই আমাদের অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে দেওয়া হোক ।’’
বারাসত মহাত্মা গান্ধী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু বিকাশ মাইতি বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের সুনাম রয়েছে । এই স্কুলের ছাত্ররা মাথায় বড় চুল নিয়ে অন্য স্কুলে পরীক্ষা দিতে গেলে এই স্কুলের ও পাশাপাশি ছাত্রদের সুনাম নষ্ট হবে । তাই প্রধান শিক্ষক বলেছেন মঙ্গলবার বিকেল 5টার মধ্যে ছোট করে চুল কাটিয়ে আসলে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে । নাহলে বুধবার সকালে এসে ছাত্ররা অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে যাবে । অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না, তা বলা হয়নি । স্কুল এবং ছাত্রদের সুনামের দিকে তাকিয়ে প্রধান শিক্ষক এই কথা জানিয়েছেন ।’’