বারাসত, 8 মার্চ: একদিকে প্রবল শ্বাসকষ্ট ৷ আর তার সঙ্গে ছিল বিভিন্ন উপসর্গ এবং খিঁচুনি । এই অবস্থায় ভেন্টিলেশনে থাকা অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার করে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে পুনর্জন্ম দিলেন চিকিৎসকরা । অস্ত্রোপচারের পর মহিলা ও তাঁর পুত্রসন্তান দু'জনেই সুস্থ রয়েছেন । বুধবার তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে ৷ আর এই অসাধ্য সাধন করেছে উত্তর 24 পরগনার বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Barasat Government Medical College Hospital)।
বছর 33-এর প্রসূতির নাম রীতা সাহা । অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি দত্তপুকুরে বাপের বাড়িতে ছিলেন । 1 মার্চ সেখানেই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় । সঙ্গে আরম্ভ হয় খিঁচুনিও । তড়িঘড়ি বারাসত মেডিক্যালে নিয়ে গেলে প্রসূতির শারীরিক পরিস্থিতি দেখে ভরতি করে নেওয়া হয় হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে । হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভরতির সময় মহিলার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ছিল যথেষ্ট কম । প্রয়োজনের তুলনায় শরীরে যথেষ্ট বেশি ছিল কার্বন ডাই-অক্সাইড । ইউরিন দিয়েও সমানে রক্ত বেরোচ্ছিল । এইসব দেখে চিকিৎসকরা এক মুহূর্ত দেরি না-করে প্রসূতিকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেন । কিন্তু তাতেও অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল । তা না-করলে জীবনের আশঙ্কা ছিল প্রসূতি ও সদ্যোজাতের ৷ তাই পরিবারের সম্মতি নিয়ে শেষে অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করার উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল সেই অস্ত্রোপচারেই মেলে সাফল্য । অস্ত্রোপচারের পর মহিলা ও তাঁর সদ্যজাত শিশুকে প্রায় পাঁচদিন সিসিইউ-তে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয় । তারপর দু'জনকেই সেখান থেকে শিফট করা হয় জেনারেল বেডে । মা এবং শিশু দু'জনেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠায় বুধবার তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় । এদিন হাসপাতালে স্ত্রী এবং পুত্র সন্তানকে নিতে এসে আবেগঘন হয়ে পড়েন অনুপম সাহা ।