পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Suspected Al Qaeda Terrorists Arrest জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের 14 দিনের হেফাজতে পেল এসটিএফ

আল-কায়দার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত (Suspected Al-Qaeda Terrorists Arrest) আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহসানউল্লাহকে বৃহস্পতিবার বারাসত জেলা আদালতে (Barasat District Court ) পেশ করল রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) এসটিএফ (Special Task Force) ৷ বিচারক সম্রাট রায় দুজনকেই 14 দিনের জন্য এসটিএফ হেফাজতে (14 Days STF Custody) পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ৷

Barasat District Court sends two Suspected Al Qaeda Terrorists to 14 Days STF Custody
Suspected Al Qaeda Terrorists Arrest জঙ্গি সন্দেহে ধৃত দু'জনকেই 14 দিনের হেফাজতে পেল এসটিএফ

By

Published : Aug 18, 2022, 8:18 PM IST

Updated : Aug 18, 2022, 8:54 PM IST

বারাসত, 18 অগস্ট: নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত (Suspected Al-Qaeda Terrorists Arrest) আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহসানউল্লাহকে বৃহস্পতিবার বারাসত জেলা আদালতে (Barasat District Court) পেশ করা হয় ৷ এদিন দুপুরে মুখ ঢাকা অবস্থায় তাঁদের আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ ৷ বিচারক সম্রাট রায় দু'জনকেই 14 দিনের জন্য এসটিএফ হেফাজতে (14 Days STF Custody) পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 120(বি), 121, 121(এ), 125-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, ইউএপিএ এবং 14(সি)-র ফরেনার্স অ্যাক্ট-এর আওতাতেও তাঁদের অভিযুক্ত করা হয়েছে ৷

রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) এসটিএফ (Special Task Force) সূত্রে খবর, ধৃত দুই যুবক গত প্রায় তিনমাস ধরে শাসনের খড়িবাড়ি এলাকায় যাতায়াত করতেন ৷ মূলত, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়দার (Al-Qaeda in the Indian Subcontinent) 'স্লিপার সেল'কে মজবুত করাই ছিল আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহসানউল্লাহর প্রধান দায়িত্ব ৷ গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, উত্তর 24 পরগনার শাসন অঞ্চলে আল-কায়দার জঙ্গি মডিউল গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ধৃতরা ৷ এর জন্য তাঁদের আলাদা করে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছিল ৷ খুব সম্ভবত, প্রাথমিকভাবে শাসনের গ্রামীণ এলাকাই নিশানায় ছিল সন্দেহভাজন এই দুই জঙ্গির ৷ তাছাড়া, জঙ্গি কার্যকলাপের বিস্তার ঘটাতে দরকার ছিল প্রচুর টাকা ৷ সেই অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব ছিল আব্দুরের উপর ৷ ধৃতদের জেরা করে একথা জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা ৷

আরও পড়ুন:আহসানউল্লাহর গ্রেফতারিতে হতবাক আত্মীয়, প্রতিবেশীরা

এসটিএফ (STF) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে 'আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট' বা 'আকিস' (AQIS)-এর সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ধৃতদের ৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন ৷ ধৃতদের থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, পেনড্রাইভ, মোবাইলের সিম কার্ড-সহ অসংখ্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সেসব থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা ৷ জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তাও জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তাঁরা ৷

ধৃতদের আদালতে পেশ ৷

প্রসঙ্গত,নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে শাসনের খড়িবাড়ি এলাকায় হানা দিয়ে আল-কায়দার সদস্য সন্দেহে দুই যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ ৷ তাঁদের কাছ থেকে জেহাদি পুস্তিকা এবং বিভিন্ন ধরনেরর প্রচারপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের করেছেন গোয়েন্দারা ৷

Last Updated : Aug 18, 2022, 8:54 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details