অশোকনগর, 5 সেপ্টেম্বর : অশোকনগর মাতৃসদন ৷ পোশাকী নাম প্রজ্ঞানন্দ সরস্বতী সেবা সদন ৷ উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ঘোষণা করেছিলেন, অশোকনগরের মাতৃসদন হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের অন্যতম সূচক । কলকাতা থেকে 40 কিলোমিটার দূরের এই পৌর হাসপাতাল ঘিরে কম খরচে ভালো চিকিৎসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন অনেকে । কিন্তু মাত্র 15 বছরেই সেই স্বপ্নের যবনিকা পতন । প্রায় বন্ধের মুখে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সেই স্বপ্নের হাসপাতাল।
তৎকালীন বাম সরকার 2005 সালে রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভায় একটি করে অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় । সরকারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার 18 নম্বর ওয়ার্ডে গড়ে তোলা হয়েছিল এই হাসপাতালটি । প্রায় 32 বিঘা জমিতে এই হাসপাতাল গড়ে ওঠে । 2005 সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতালের উদ্বোধন করতে আসেন । সেদিন উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, অশোকনগরের মাতৃসদন হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের অন্যতম সূচক। প্রথমে 25টি শয্যা নিয়ে হাসপাতাল শুরু হয়েছিল । কিন্তু পরে তা বেড়ে হয় 50 । প্রসূতিদের জন্য জেলার সবচেয়ে সেরা অপারেশন থিয়েটার ছিল এই মাতৃসদনে । 2011 সালে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উদ্যোগে হাসপাতালে চালু হয় অত্যাধুনিক চক্ষু চিকিৎসা বিভাগও।
খাতায় কলমে আউটডোর বিভাগে 17 জন চিকিৎসক রয়েছেন । নার্স রয়েছেন 10 জন । আয়া রয়েছেন 11 জন । তা ছাড়া অন্য কাজকর্ম করার জন্য 36 জন কর্মী রয়েছেন । ইনডোর বিভাগের জন্য চিকিৎসক রয়েছেন আরও 9 জন। অশোকনগর-কল্যাণগড় পৌরসভার 23টি ওয়ার্ডের 1 লাখ 32 হাজার বাসিন্দার ভরসা এই মাতৃসদন । পাশাপাশি হাবড়া, গুমা, বিড়া সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসতেন । কিন্তু প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগে সেই হাসপাতাল আজ বন্ধের মুখে । ইনডোর বিভাগে রোগী ভরতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। আউটডোর বিভাগটিও টিমটিম করে চলছে ।