লোকসভা ভোটে জয়ের পর মোদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসটা শুরু হয়েছে দুরন্ত গতিতে । 370 ধারা প্রত্যাহার, তিন তালাক বিল থেকে শুরু করে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়েছে সংসদে । সরকারের প্রতি শরিকদের পূর্ণ সমর্থন থাকলেও দেশের বর্তমান আর্থিক হাল নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা তীব্র হচ্ছে । সব মিলিয়ে কেমন কাটল দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম 100 দিন ? এবিষয়ে কী বলছেন প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার প্রবীর সান্যাল ? দেখে নেব...
ETV ভারত : অসমে NRC হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গেও কি চাই ?
প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার প্রবীর সান্যাল : NRC নিয়ে একটা জিনিস বুঝতে হবে, আমাদের দেশে বাংলাদেশিরা এসেছে । বাংলায় তো এসেছেই । এদের হাতে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে । আর এই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশিরা অত্যাচার করছে । মুম্বইতে বাংলাদেশি মাফিয়া আছে । মেরঠে বাংলাদেশিরা স্থানীয়দের ভয় দেখাচ্ছে । রোহিঙ্গা আমাদের দেশে এসেছে । ওদের উপর ISI-র নিয়ন্ত্রণ আছে । ওরা ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে পারে । এখন আবার জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাস করছে । ওদের চিহ্নিত করতে হবে । তাড়াতেও হবে । রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছুটা বিরোধিতা আছে । কিন্তু, একটা কথা সত্যি, এদের চিহ্নিত করে ভোটদানের ক্ষমতা সবার আগে কেড়ে নিতে হবে । বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে । পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা সবথেকে খারাপ । খারাপ সময় যখন খুশি আসতে পারে । 1962-র কথা সব সময় মনে রাখা উচিত । জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, হিন্দি-চিন ভাই ভাই । সমস্যার সমাধান হয়নি । 1962-তে চিন আমাদের থাপ্পড় মেরেছিল । জনগণ বলে, জওহরলাল নেহরু দেশের সঙ্গে গদ্দারি করেছিলেন । আমি সহমত । দেশের সঙ্গে আমার দেশের নেতাই গদ্দারি করেছিলেন । তাই, আমরা 1962-র যুদ্ধ হেরেছিলাম । এটা যেন আর না হয় । তাই, আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীকে আরও মজবুত করতে হবে । এখন পাকিস্তানের কথা কে শোনে ? ওদের আর্মি প্রধান প্রধানমন্ত্রীকে একটা কাগজ দিয়ে দেন । ইমরান খান সেটা দেখে পড়েন । ওদের বকবক করতে দাও । কী করতে হবে আমরা জানি । বিদেশে যখন সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়, সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে হয়ে যায় । ওরা শাসকদলকে সমর্থন করে । আমাদের দেশে পুরোপুরি উলটো । বিরোধী দলগুলি প্রতিপক্ষ দেশের মতো আচরণ করে । যেরকম আমি NRC-র কথা বলছি । এটা হওয়া জরুরি । কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের সরকারের ভাবনা অন্য । কারণ, ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি । বাংলাদেশিদের তাড়িয়ে দিলে তো লোকসান হয়ে যাবে । ওদের রেশন কার্ড, আধার কার্ড দেওয়া হচ্ছে । যাতে ওরা কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে পারে । এটা দেশদ্রোহী কার্যকলাপ ।