নৈহাটিতে, 24 নভেম্বর : নৈহাটি পৌরসভার পালবাগান এলাকায় বাড়ি থেকে এক গৃহশিক্ষিকার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ ওই মহিলার নাম ইন্দ্রাণী মিত্র (47) ৷ নৈহাটি থানার পুলিশ প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডল এবং তার দোকানের কর্মচারী পিন্টু নাথকে গ্রেপ্তার করে ৷ প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডলের কথায় অসঙ্গতি প্রকাশ পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷
নৈহাটিতে মহিলা খুনে গ্রেপ্তার 2 প্রতিবেশী
নৈহাটিতে গৃহশিক্ষিকা খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হল দুইজন ৷ একজন তাঁরই প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডল, অপরজন জয়দেব মণ্ডলের কর্মচারী পিন্টু নাথ ৷ ধৃতদের সাতদিনের পুুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিল ব্যারাকপুর আদালত ৷
দু'জনকেই 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হয় ৷ বিচারক দু'জনকেই সাতদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । এই দুই সন্দেহভাজককে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেপাজতে রাখতে চাইছে পুলিশ ৷ যদিও পুলিশ মনে করছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই জয়দেব মণ্ডল কর্মচারী পিন্টু নাথকে সঙ্গে নিয়ে ইন্দ্রাণীদেবীকে খুন করেছে । প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডলের সঙ্গে ইন্দ্রাণীদেবীর একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ আর সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেও তিনি খুন হতে পারেন ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি একাই থাকতেন ওই বাড়িতে ৷ পিতার মৃত্যর পর তাঁর পাশের ঘরটি প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডলকে দোকান চালানোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন ৷ তাঁর বাবার মৃত্যুর পর দোকান ঘরের ভাড়া নেওয়ার পরিবর্তে তিনি জয়দেব মণ্ডলের পরিবারের কাছ থেকে দুবেলা খাবার খেতেন ৷ ইন্দ্রাণীদেবীর সঙ্গে জয়দেব মণ্ডলের পরিবারের ভালো সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷ পরশুদিন রাতে ইন্দ্রাণীদেবী খাবার নিতে না যাওয়ায় খোঁজখবর নিতে জয়দেব তাঁর বাড়ি যায় ৷ দেখে, দরজা খোলা এবং খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ইন্দ্রাণীদেবী ৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হলে তারা আসে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ।