ব্যারাকপুর, 23 জুন: ব্যারাকপুরে চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সেনা ডাক্তার । ডিভোর্সের পর ভারতীয় সেনা ডাক্তারের সঙ্গে লিভ টুগেদার থাকতেন ব্যারাকপুরে, সেখানেই মৃত্যু । প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কথা উঠলেও, মেয়ের মায়ের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সেনা ডাক্তারকে শুক্রবার গ্রেফতার করল ব্যারাকপুর থানার পুলিশ ।
গত সোমবার চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের (37) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ব্যারাকপুর সেনা ছাউনির অফিসার্স কোয়ার্টার্স ‘ম্যান্ডেলা হাউস'-এর 20 নম্বর ফ্ল্যাটের একটি ঘর থেকে । তিন লাইনের একটি হাতে লেখা ‘সুইসাইড নোট' প্যাডের ছেঁড়া পাতায় ভাজ করা অবস্থায় মৃতদেহের পাশে পরে ছিল । সিলিং ফ্যান থেকে শাড়ির ফাঁসে ঝুলন্ত দেহটির পা মুড়ে রয়েছে বিছানার উপরে । তাতে নীল কালিতে লেখা ছিল, 'যে প্রহারের দাগ নিয়ে চলে গেলাম / এর শোধ কেউ নেবে / আমার মৃত্যুর জন্য কৌশিক দায়ী।' এই ঘটনা সামনে আসার পরেই তদন্তে নেমেছিল পুলিশ।
মৃত চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপার বাড়ি বারাসত দক্ষিণ পাড়া রোডে। সেখানে থাকেন মৃতার বাবা-মা। মা ঝর্ণা হালদার জানিয়েছেন, মেয়ে প্রজ্ঞাদীপা হালদারের প্রথম 2013 সালে বিয়ে হয় । কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি । তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় । এরপর ব্যারাকপুরে সেনা হাসপাতালে কর্মরত কৌশিক সর্বাধিকারীর সঙ্গে সম্পর্ক হয় । মেয়ে প্রজ্ঞাদীপাও পেশায় একজন চিকিৎসক। বারাসত ব্লক 1-এর অন্তর্গত ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনি কর্মরত ছিলেন ।
মৃতার মা আরও জানান, কৌশিক বাবুর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর 2020 সাল থেকে ব্যারাকপুরেই থাকতেন মেয়ে । মেয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল রবিবার । সোমবার সারাদিন ফোন করলেও মেয়েকে ফোনে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন প্রজ্ঞাদীপার মা। অবশেষে, মধ্যরাতে ফোন আসে মেয়ে সেনা হাসপাতালে রয়েছে । পরিবার-প্রতিবেশীরা ছুটে যায় ব্যারাকপুরে ।