বসিরহাট, 2 এপ্রিল : ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা বসিরহাট বরাবরই খ্যাত অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য । আর তা সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে পাচার হোক কিংবা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস এদেশে নিয়ে আসাই হোক । বারবার তা খবরের শিরোনামে এসেছে ।
তবে, বিএসএফ ও পুলিশের তৎপরতায় সেই সমস্ত অপরাধ বহু ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে । ধরাও পড়েছে অপরাধীরা । তারই মধ্যে বগটুই কাণ্ডের পর অপরাধ ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যজুড়ে অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন পুলিশ প্রশাসনকে । এরপরই শুরু হয়েছে তল্লাশি, অভিযান । লক্ষ্য, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করা ।
পুলিশের অভিযান এবং তল্লাশিতে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোনও না কোনও জায়গা থেকে অস্ত্র,বোমা-গুলি উদ্ধার হচ্ছে (Arms Recovered in police operation at Basirhat) । যার থেকে বাদ নেই উত্তর 24 পরগনা জেলাও । তবে সবচেয়ে বেশি পুলিশের সাফল্য এসেছে সীমান্ত ঘেঁষা বসিরহাট মহকুমায় ।
সূত্রের খবর, অভিযান ও নাকা তল্লাশিতে গত সাতদিনে বসিরহাটের মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, হাড়োয়া সহ পাশ্ববর্তী বেশ কয়েকটি থানা এলাকা থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ । বাজেয়াপ্ত হওয়া 27টি বন্দুক, 45 রাউন্ড কার্তুজ এবং 1টি কার্বাইনের পাশাপাশি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কয়েকজন দুষ্কৃতী ।