ভাটপাড়া, 10 ডিসেম্বর: ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে শনিবার তাঁকে নিশানা করেছিলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। 24 ঘণ্টার মধ্যেই দলীয় বিধায়ককে পালটা দিলেন সাংসদ তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। রীতিমতো বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিশেষণ ব্যবহার করে কার্যত তাঁকে তুলোধনা করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। বুঝিয়ে দিলেন তিনিও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়! পালটা কীভাবে টক্কর দিতে হয়, তা বিধায়কের সঙ্গে সংঘাত জারি রেখে রবিবার তা ঠারেঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং।
রবিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ভাটপাড়া অঞ্চলে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে সামনের সারিতে থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংকে। মিছিলে অর্জুনপন্থী ভাটপাড়ার পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও হাজির ছিলেন। মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সভারও আয়োজন করা হয় সেখানে। সেই সভামঞ্চ থেকে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের তোলা অভিযোগের পালটা জবাব দেন ব্যারাকপুর সাংসদ।
সরাসরি তৃণমূল বিধায়ককে নিশানা করে অর্জুন সিং তাঁকে 'ব্রয়লার মুরগি'র সঙ্গে তুলনা করেন। সাংসদের কথায়, "ব্রয়লার মুরগিকে ভ্যাকসিনের ইঞ্জেকশন দেওয়ায় কু-কু করে ডাকতে শুরু করেছে। নৈহাটির এক ওষুধের দোকানে গেলে এই ইঞ্জেকশন পাওয়া যাবে। এটা দিলেই মুরগি যেমন কু-কু করবে। তেমনই তিনিও কু-কু করবেন।" বস্তুত, সাংসদ অর্জুন সিং যে নৈহাটি এলাকার কথা উল্লেখ করেছেন সেখানকার বিধায়ক আবার পার্থ ভৌমিক। যিনি রাজ্য সরকারের মন্ত্রীও বটে ৷ স্বভাবতই তাঁকেও এই ঘটনার মূলে ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। যদিও তিনি মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের নাম উচ্চারণ করেননি প্রতিবাদ সভা কিংবা সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।