পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Argentina's Fan: আর্জেন্তিনার বিগ ফ্যান ইছাপুরের শিবা ! বাড়ি থেকে ফ্যান, আসবাব রাঙিয়েছেন 'নীল-সাদা'য় - Lionel Messi

ঘরের আলমারি, সিলিং ফ্যান, ঠাকুরের আসন আর্জেন্তিনার রঙে রাঙিয়ে তুললেন ইছাপুরের নবাবগঞ্জের শিবা পাত্র (Argentina's Fan)। তিনি পেশায় চা বিক্রেতা ৷ ফুটবল প্রেমে পাগল ৷ এই চায়ের দোকান থেকে রোজগার করে আর্জেন্তিনার ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, মেসি ও মারাদোনার ছবি দিয়ে এলাকা সাজিয়েছেন (Argentinas Fan of Ichapur)।

Argentinas Fan
আর্জেন্তিনার বিগ ফ্যান ইছাপুরের শিবা

By

Published : Dec 15, 2022, 9:56 PM IST

আর্জেন্তিনার ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, মেসি ও মারাদোনার ছবি দিয়ে এলাকা সাজিয়েছেন ইছাপুরের শিবা

ইছাপুর, 15 ডিসেম্বর:1986 সাল থেকে আর্জেন্তিনার ফুটবল প্রেমে পাগল শিবা পাত্র। নিজের দোতলা বাড়ির ভিতরে এবং বাইরে নীল সাদা-রং করেছেন। এছাড়াও ঘরের আলমারি, সিলিং ফ্যান, ঠাকুরের আসন পর্যন্ত নীল-সাদা রং করে ফেলেছেন। নিজে যেমন আর্জেন্তিনার জার্সি পড়ে ঘুরে বেড়ান তেমনই তাঁর স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, জামাই সবারই আর্জেন্তিনার নীল-সাদা রঙের জামাকাপড় ও চাদর রয়েছে (Argentinas Fan of Ichapur)।

এই চায়ের দোকান থেকে রোজগার করে আর্জেন্তিনার ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, মেসি ও মারাদোনার ছবি দিয়ে এলাকা সাজিয়েছেন। 2022-এর ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল তাঁর। সেমতো টাকাও জমিয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে খেলার টিকিট না-মেলায় সেই পয়সা দিয়ে মেসির (Lionel Messi) মূর্তি বানিয়ে দোকানের পাশে বসিয়েছেন। তাঁর এই কর্মকাণ্ড ও আর্জেন্তিনার প্রতি ভালোবাসা ইতিমধ্যে অনেকেই জানেন। এলাকার লোকজন শিবাদাকে দেখে আরও বেশি আর্জেন্তিনার ভক্ত হয়ে উঠেছেন। দোকানে চা খেতে আসা লোকজন থেকে প্রতিবেশীরা এই ভালোবাসা ও পাগলামি দেখে তাঁকে আরও শ্রদ্ধা করেন।

আরও পড়ুন:হাতে আঁকা 'ইশ্বর'-এর পেন্সিল স্কেচ, বিশ্বকাপের গ্যালারিতে ভাইরাল কলকাতার মেসিফ্যান

শিবা পাত্র বলেন, "আর্জেন্তিনার মেসি আমার ভাই। 1986 সাল থেকে আর্জেন্তিনার খেলা আমার ভালো লাগে। আমি নিজেও ফুটবল খেলতাম। মারাদোনাকেও (Diego Maradona) ভালো লাগত। ভারত যদি ফুটবলে কোনওদিন বিশ্বকাপে যায় আমি ভারতের সমর্থক হব, তবে মেসি আমার ভাই।"

তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা পাত্র বলেন, "ওনার এই আবেগকে আমরা সম্মান করি। উনি যাই করেন তাতে আমরা কিছুই বলি না। আমরা গর্ববোধ করি। রাস্তায় বেরোলে সবাই আমাদের আর্জেন্তিনা বাড়ির লোক বলেই চেনেন। আমার মেয়ের বিয়েতে মণ্ডপ থেকে প্যান্ডেল, মেয়ে, জামাইয়ের পোশাক এবং খাবার-দাবারেও নীল-সাদা রঙের ছোঁয়া ছিল।

ABOUT THE AUTHOR

...view details