মধ্যমগ্রাম, 3 মার্চ: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের নামে (Minor Girl Rape in Madhyamgram)। ধৃতের নাম বিকাশ হালদার । ঘটনার জেরে শুক্রবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে । ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে । এদিনই নির্যাতিতা নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং আদালতে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য মধ্যমগ্রামে ৷
জানা গিয়েছে, বছর বারোর ওই নাবালিকা মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা । ওই একই এলাকাতে বাড়ি বিকাশ হালদারও । প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ওই নাবালিকার প্রতিবেশী ৷ সেই সুযোগে দিনের পর দিন সে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করত বলে অভিযোগ । সম্প্রতি নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর কুকীর্তি সামনে আসে। গোটা ঘটনাটি পরিবারকে জানায় নাবালিকা । এরপরই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে তৃণমূলের এই প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
এই প্রসঙ্গেই নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা বলেন, "আমার মেয়ে বিকাশকে জেঠ্যু বলে ডাকত । ওর বাড়িতেও যাতায়াত ছিল মেয়ের । ও যে এই কাণ্ড ঘটাবে তা আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি । পরে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সামনে আসে বিষয়টি। অভিযুক্ত বিকাশের কঠোর শাস্তি চাই আমরা।"
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে শাসক ও গেরুয়া শিবিরে ৷ মধ্যমগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা শাসকদলের কাউন্সিলর সুভাষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "যেদিন থেকে ও (বিকাশ) তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে সেদিন থেকেই ওর অধঃপতন শুরু হয়েছে । দলে থাকাকালীন ওর বিভিন্ন অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করতাম আমরা । সেই কারণে সুযোগ বুঝে পালটি খেয়ে নাম লেখায় গেরুয়া শিবিরে । খুনের থেকেও বড় অপরাধ করেছে সে । ওর কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার ।"