হাবড়া, 16 মার্চ: প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় স্ত্রীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মৃতার নাম সিক্তা বিশ্বাস (26)। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর 24 পরগনা জেলার হাবড়ায়। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মনোজ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে হাবড়ার কাশিপুরের আমপাড়ার বাসিন্দা সিক্তা মালাকারের সঙ্গে বিয়ে হয় ফুলতলা এলাকার মনোজ বিশ্বাসের। দম্পতির দু'বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তা সত্বেও মনোজ প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি সিক্তা স্বামীর সেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।
স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি সিক্তা জানিয়েছিল তার ভাই সজল মালাকারকে। রবিবার রাতেও ভাইকে ফোন করে সেকথা হয় দু'জনের মধ্যে। এরপর গভীর রাতে হঠাই গ্রামের একজন সজলকে ফোন করে জানায়,তার বোন খুব অসুস্থ। শীঘ্রই তাঁকে যেতে বলা হয় বোনের শ্বশুর বাড়িতে। রাতে সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন বাড়ির পাশের একটি ছোট্ট কাঁঠাল গাছে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলছে বোন সিক্তা। সেই দৃশ্য দেখার পরই ভেঙে পড়েন সজল। খবর দেওয়া হয় হাবড়া থানায়।
প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই কি খুন ? পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে,তা বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এই বিষয়ে মৃতার ভাই সজল মালাকার বলেন, জামাইবাবুর অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই কথা বোন আমাকে জানিয়েছিল। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের পথের কাঁটা সরাতেই বোনকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীর কঠোর সাজা হোক। তাহলেই বোনের আত্মা শান্তি পাবে। এদিকে,আজ সকালে মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নিহতের স্বামী মনোজকে গ্রেফতার করে। এই বিষয়ে হাবড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, এটি খুন না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই পরিষ্কার হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।