সোদপুর , 9 মে : পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের অভিযোগ উঠল আইনজীবীর বিরুদ্ধে । উত্তর 24 পরগনার সোদপুরের প্রিয়নগর এলাকার ঘটনা । মৃতদের নাম সঙ্গীতা হেলা (39) ও নেহা হেলা (15) । অভিযুক্ত ওই আইনজীবী অনিল হেলা ও তার বাবা ও ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে সোদপুর থানার পুলিশ ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন , স্ত্রী সঙ্গীতার সঙ্গে অনিলের অশান্তি প্রায় লেগেই থাকত ৷ অভিযোগ , সঙ্গীতাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রায়ই মারধর করে । শনিবার সকালেও ওই গৃহবধূকে মারধর করা হয় । যদিও পড়শিদের চেষ্টায় তখনকার মতো গোলমাল মিটে যায় । এরপরই দুপুরবেলা ওই বাড়ির সদস্যদের ব্যাগ গুছিয়ে একে একে সবাইকে বেরিয়ে যেতে দেখে প্রতিবেশীরা ৷ তা দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয় ৷ তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ওই পরিবারের সদস্যরা অসংলগ্ন উত্তর দিতে থাকে । তখন তাঁরা দল বেঁধে ওই আইনজীবীর বাড়িতে যান । সেখানে গিয়ে দেখেন, মেঝের উপরে সঙ্গীতা ও নেহার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে মা ও কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে বলরাম সেবাসদন হাসপাতালে পাঠায় । সেখানে চিকিৎসকরা দু'জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন । দেহ দু'টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ।
সোদপুরে স্ত্রী ও কিশোরীকে খুনের অভিযোগ , গ্রেপ্তার 3 - সোদপুরে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার আইনজীবী
স্ত্রী ও কিশোরীকে খুনের অভিযোগ উঠল আইনজীবীর বিরুদ্ধে ৷ এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই আইনজীবী-সহ তার বাবা ও ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে সোদপুর থানার পুলিশ ৷ উত্তর 24 পরগনার সোদপুরের প্রিয়নগর এলাকার ঘটনা ।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন দে বলেন , ‘‘আইনজীবী অনিল হেলা প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করত । প্রতিবেশীরা কিছু বলতে গেলে মামলার ভয় দেখাতো । আজ সকালেও ওই গৃহবধূকে মারধর করা হয়েছে । আমরা তখন মিটিয়ে দিয়েছিলাম । দুপুরের পরে দেখলাম, ওরা ব্যাগপত্র গুছিয়ে একে একে কোথায় যেন চলে যাচ্ছে । তখন আমাদের সন্দেহ হয় । আমরা গিয়ে দেখি মা ও মেয়ের দেহ ঘরেই পড়ে আছে । আমরা দোষীদের সাজা চাই ।’’
আরও এক পড়শি নন্দিতা দে বলেন , ‘‘ওই উকিল প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করত । আমরা অনেকবার দেখেছি । কিন্তু আমরা কিছু বলতে গেলে কথা শোনাত ।মামলার ভয় দেখাত ৷’’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোদপুর থানার পুলিশ ৷