বারাসত, 15 অগস্ট: বুধবার বারাসত 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন ! কিন্তু তার আগেই পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তুলে আদালতে গিয়ে কড়া নাড়লেন পরাজিত সিপিএম প্রার্থী শেখ আবুল হোসেন । তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শঙ্খ চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি । সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, পৌর এলাকার ভোটারই নন ওই তৃণমূল নেতা ! অথচ তিনিই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রার্থী হয়ে তৃণমূলের হয়ে ভোটে জয়ী হয়েছেন ।
বারাসত 1 ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির 25 নম্বর আসন থেকে এবার জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় । আর এই নিয়েই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের ঠিক আগে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সিপিএমের পরাজিত প্রার্থীর অভিযোগ ঘিরে । পরাজিত সিপিএম প্রার্থী শেখ আবুল হোসেন বলেন, "জয়ী তৃণমূল প্রার্থী পৌর এলাকার ভোটার হয়েও তিনি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন । যা নির্বাচন কমিশনের আইনের পরিপন্থী । নির্বাচন কমিশনের আইনের তোয়াক্কা না করেই শাসকদলের এই জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ভোটে লড়াই করেছেন । এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি । আমি চাই এর একটি প্রতিকার হোক ৷" অভিযোগকারীর আরও দাবি, বিষয়টি জানার পরই তিনি বারাসতের মহকুমা শাসক ও জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ৷ কিন্তু অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি । উলটে বিডিও তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন ৷ তাই তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷
যদিও,এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাননি তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় । পালটা এনিয়ে বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ এনেছেন তিনি । তাঁর কথায়,"অভিযোগ শুনে হাসব না কাঁদব তাই ভাবছি । প্রথমত,নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রার্থীদের জন্য যে ফর্ম দেওয়া হয় সেখানে যাবতীয় বিষয় উল্লেখ করতে হয় । সেই ফর্মেই আমি উল্লেখ করেছি আমার যাবতীয় বিষয় । দ্বিতীয়ত, 5 জানুয়ারি যে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে সেখানে আমার নাম রয়েছে । তাই,আমাকে কালিমালিপ্ত করতে এটা বিরোধীদের চক্রান্ত হতে পারে । আমি একজন স্বচ্ছ মানুষ । কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নই ৷"