হাসনাবাদ, 25 মে : আমফানের দাপটে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত একাধিক গ্রাম । পানীয় জলের নলকূপগুলিও আপাতত জলের তলায় । ফলে পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন বাসিন্দারা । তাই হাঁটু জলে দাঁড়িয়েই পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন হাসনাবাদের আঙ্গারা গ্রামের বাসিন্দারা ।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আমফানের পর পাঁচ দিন কেটে গেলেও খাবার ও পানীয় জলের সংকট অব্যাহত । দ্রুত পানীয় জল না পেলে দূষিত জল পান করতে বাধ্য হবেন অনেকে । ফলে একাধিক অসুখ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা । তার মধ্যে উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট মহকুমা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে নোনাজল ঢুকে পড়ে ৷ জেলায় বিভিন্ন নদীবাঁধের 76টি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হলেও হাসনাবাদ থানার পাটলি, খানপুর, টেংরামারি, রামেশ্বরপুর ও আঙ্গারা-সহ একাধিক গ্রাম এখনও জলের তলায় রয়েছে । জলবন্দী হয়ে রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ । কেউ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তো কেউ বাড়ির ছাদে ।
নলকূপগুলি জলে ডুবে থাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে । বাসিন্দাদের বক্তব্য, গরম পড়ায় জলের চাহিদা বেড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম । দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা না করা হলে চরম বিপদের মুখে পড়তে হবে এলাকার বাসিন্দাদের।
এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ হাসনাবাদে আজ আঙ্গারা গ্রামের মহিলারা পানীয় জলের দাবিতে একহাঁটু জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ দ্রুত পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর দাবি করেন তাঁরা । হাসনাবাদের BDO অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, "যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে । যত দ্রুত সম্ভব আমরা পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি ।"