মধ্যমগ্রাম, 31 অক্টোবর : পণের দাবিতে যুবতিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । মৃতার নাম মেহেন্দি পারভিন(20) । ঘটনার জেরে আজ বিকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যমগ্রামের রোহন্ডা চন্ডীগড়ের চৌঘুরিপাড়ায় । ঘটনার পরই দেহ আটকে শ্বশুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় মৃতার পরিবারের লোকেরা । পরে বিশাল পুলিশবাহিনী ও RAF ঘটনাস্থানে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় । সেই সঙ্গে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । ঘটনার পর থেকেই যুবতির শওহর সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ।
দত্তপুকুরের কদম্বগাছি ইসলামপুরের বাসিন্দা শেখ হাকিমের মেয়ে মেহেন্দি পারভিন । জানা গেছে, বছর তিনেক আগে তাঁর বিয়ে হয় মধ্যমগ্রামের রোহন্ডা চন্ডীগড় পঞ্চায়েতের চৌঘুরিয়ার মনিরুল ইসলামের সঙ্গে । দম্পতির দু-বছরের একটি মেয়েও আছে । বিয়ের সময় শ্বশুর বাড়ির চাহিদা মতো সমস্ত জিনিসপত্র দিয়েছিলেন মেহেন্দির পরিবার । তা সত্বেও বাপের বাড়ি থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আসার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ । টাকা আনতে অস্বীকার করলেই মেহেন্দির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন শ্বশুর বাড়ির লোকেরা । এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত ।
এরই মধ্যে আজ দুপুরে মনিরুল শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাঁর বিবি । দ্রুত মধ্যমগ্রামে চলে আসতে বলা হয় তাঁদের । জামাইয়ের কথা শুনে তড়িঘড়ি মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে চলে আসেন মেহেন্দির আব্বা শেখ হাকিম সহ পরিবারের অন্যান্যরা । গিয়ে দেখেন,দোতলার ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে মেহেন্দির দেহ । হাঁটু দুটি ছিল মোড়ানো অবস্থায় । এমন অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় মেয়ের পরিবারের লোকেদের ।খুনের অভিযোগ তোলা হয় শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে ।