ঠাকুরনগর, 11 জুন: ঠাকুর বাড়িতে গিয়েও মন্দিরে ঢুকতে পারলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মতুয়া বিক্ষোভের মুখে পড়ে মন্দিরের দরজা থেকে ফিরে আসতে হল তৃণমূলের যুবরাজকে ৷ আর তারপরই পালটা হুঙ্কার ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনকি গায়ের জোর দেখানোর ব্যাপারে তিনিও যে কিছু কম যান না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক ৷ তাঁর দাবি, পাঁচ মিনিটে সবকিছু ভেঙে তিনি ভিতরে ঢুকে যেতে পারেন ৷
রবিবার নবজোয়ার কর্মসূচিতে ঠাকুরনগরে মতুয়াদের মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু মন্দিরে ঢোকার পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়া মহাসংঘের একাংশের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়েই শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, "আমার রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে হাবড়ায়। এখান থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে। আমার এখানে আসার কথা ছিল পুজো দেওয়ার জন্য। আমি যাতে ঢুকতে না পারি সকাল থেকে মন্দিরটাকে ঘিরে রেখে দেওয়া হয়েছে বিজেপির লোকেদের দিয়ে।" এরপরই কার্যত হুমকির সুরে তিনি বলেন, "ওদের দুশো-আড়াইশো জন আর আমাদের পাঁচ হাজার লোক রয়েছে। আমি চাইলে গায়ের জোর দেখিয়ে ঢুকতে পারি। কিন্তু ঠাকুরবাড়ি গায়ের জোর দেখানোর জায়গা নয়। এই মতুয়া ধাম, মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যে কোনও মানুষ এখানে আসতে পারে।"
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেছেন, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের লড়াই বিশেষ করে শিক্ষাকে সামনে রেখে সমাজের মধ্যে জাগরণ তৈরি করার প্রচেষ্টা, পরিশ্রম, ত্যাগকে এদিন কলুষিত করা হল শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর গুন্ডাবাহিনীকে দিয়ে। আগামিদিনে মানুষ যাতে এর জবাব দেয়, এর জন্য যাবতীয় দায়-দায়িত্ব মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক ৷
এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, "শান্তনু ঠাকুর যে বাড়িতে থাকেন সেখানে জলের ব্যবস্থা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি কেউ ভাবে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের লড়াইকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করব, তাহলে বলব এই ঠাকুর বাড়ি ওঁর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এই ঠাকুরবাড়ি মানুষের শ্রদ্ধা এবং আবেগের জায়গা। আমি চাইলে পাঁচ মিনিট লাগবে সবকিছু ভেঙে ভিতরে ঢুকে যেতে। কিন্তু ভাঙার রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না।"