পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

বারাসতে কোরোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক

By

Published : May 13, 2020, 3:14 PM IST

গতরাতেই বারাসতের কদম্বগাছির কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । তাঁর পরিবারের লোকজনকে আপাতত হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । তাঁদেরও সোয়াব নুমনা পরীক্ষা হতে পারে বলে জানা গেছে ।

ছবি
ছবি

বারাসত, 13 মে : বারাসতে কোরোনায় আক্রান্ত হলেন এক চিকিৎসক । গতকাল তাঁর সোয়াব নমুনার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে জানা গেছে । তাঁকে গতরাতেই বারাসতের কদম্বগাছির কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । তাঁর পরিবারের লোকজনকে আপাতত হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । তাঁদেরও সোয়াব নুমনা পরীক্ষা হতে পারে বলে জানা গেছে । আজ সকালে চিকিৎসকের বাড়ি, এলাকার রাস্তাঘাট স্যানিটাই়জ করেন পৌরসভার কর্মীরা । এছাড়াও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে সিল করা হয়েছে এলাকা । কেউ যাতে এলাকায় অকারণে ঘুরে না বেড়ায় তা দেখার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে দু'জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে ।

কলকাতাসহ বারাসতের কয়েকটি নামি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত আছেন ওই চিকিৎসক । এছাড়াও বারাসতে কয়েকটি প্রাইভেট চেম্বারও রয়েছে তাঁর । শারীরিক অসুস্থতার জন্য বাড়িতেই ছিলেন গত 10 দিন ধরে । তার মধ্যেই কোরোনার লক্ষ্য ধরা পড়ায় সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করান । গতকাল সন্ধেয় সেই রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে । খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ায় বারাসতে । উদ্বেগ বাড়ে প্রশাসনেরও । রাতেই পুলিশ প্রশাসনের তরফে আক্রান্তের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয় । পরে,অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই চিকিৎসককে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসতের কোরোনা হাসপাতালে । সেখানেই এখন চিকিৎসা চলছে তাঁর ।

এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী ও তৃণমূল নেতা জয়ন্ত ঘোষ বলেন, "পৌরসভা ও প্রশাসন থেকে জানতে পারি, ওই চিকিৎসক কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । পুলিশও গতরাতে বাড়িতে এসে খোঁজ খবর নিয়েছে । সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায় তারজন্য প্রয়োজনীয় সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।"

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে উত্তর 24 পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, " তিনি কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে । প্রয়োজনে তালিকা তৈরি করে তাঁদেরকেও কোয়ারানটিনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে ।"

রেড জ়োন উত্তর 24 পরগনায় প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা 200 পেরিয়েছে । সংক্রমণ ঠেকাতে বাড়ানো হয়েছে কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা । জেলা সদর বারাসতেও সংক্রমিতের তালিকা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে । তবে, এতদিন কোনও চিকিৎসকের আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details