পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Barasat Minor Rape : থানার আইসি'র অসহযোগিতা ! তবে এসপি'র হস্তক্ষেপে গ্রেফতার নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত - বারাসতে নাবালিকা ধর্ষণ ও মৃত্যু

আইসির বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে বুধবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন বারাসতের ওই পরিবার (Barasat Minor Rape) । আইনজীবী মারফত গোটা ঘটনাটি পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আকারে জানান তাঁরা । ন‍্যায় বিচার পেতে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছিলেন নাবালিকার পরিবার । তবে অতদূর পর্যন্ত এগোনোর প্রয়োজন হয়নি ৷ এসপি'র কাছে নালিশ জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত এবং তার পরিবারকে গ্রেফতার করে বারাসত থানার পুলিশ ।

Barasat Minor Rape
Barasat Minor Rape

By

Published : Apr 28, 2022, 9:54 PM IST

বারাসত, 28 এপ্রিল : ন‍্যায় বিচার পেতে নির্যাতিতার পরিবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হতেই তৎপর হলেন বারাসত থানার আইসি । এসপির কাছে নালিশ জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারকে গ্রেফতার করার উদ্যোগ নিলেন তিনি (Barasat Minor Rape and Death Case) । বৃহস্পতিবার পুলিশের একটি টিম বারাসত কাজিপাড়ায় হানা দিয়ে অভিযুক্ত ও তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 216, 306 ও 34 ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । অভিযুক্তদের গ্রেফতারে খুশি নাবালিকার পরিবার ৷ তবে কড়া শাস্তির দাবিতে অনড় রয়েছেন তাঁরা ।

ওই নাবালিকা (14) বারাসতে মামারবাড়ি থেকে পড়াশোনা করত ৷ একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে ৷ গত বছরের মে মাসে মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় আইনি সহায়তা চেয়ে বারাসত থানায় যায় নাবালিকার পরিবার । অভিযোগ, সেই সময় বারাসত থানার আইসি স্থানীয় এক মাতব্বরের সহযোগিতায় ঘটনাটির মীমাংসা করে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় পরিবারকে । পরিবারের দাবি, এই প্রস্তাবে নারাজ হলেও পরে বাধ্য হয়ে অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে মীমাংসা করে নেন তাঁরা । পুলিশি চাপের মুখে সেই সময় পরিবারকে দিয়ে জোরপূর্বক লিখিয়ে নেওয়া হয়, মেয়েটি সাবালিকা হলে একমাত্র ধর্ষকের সঙ্গেই বিয়ে দিতে হবে । অন্য কারও সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যাবে না । কিন্তু পরে অভিযুক্ত ও তার পরিবার নির্যাতিতাকে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে ৷

পরিবারের দাবি, সালিশি সভার পর থেকেই নির্যাতিতা নাবালিকা সবসময় মনমরা হয়ে থাকত । তারই মধ্যে ধর্ষকের পরিবারের তরফে চলত নিয়মিত হুমকি এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া । অপমানিত হয়ে শেষে এবছরের 3 এপ্রিল রমজানের প্রথম দিনে ঘর থেকে নির্যাতিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । এই ঘটনার পরদিন অর্থাৎ 4 এপ্রিল বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবার । অভিযোগ, নামকাওয়াস্তে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও বুধবার পর্যন্ত অভিযুক্ত পরিবারের কাউকেই গ্রেফতার করার উদ্যোগ নেয়নি । উল্টে, বারাসত থানার আইসি ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ ।

আরও পড়ুন :Tapan Dutta Murder Case : তপন দত্ত হত্যায় সিবিআই তদন্তের আর্জি মৃতের স্ত্রীর

এরপরই আইসির বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে বুধবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন বারাসতের ওই পরিবার । আইনজীবী মারফত গোটা ঘটনাটি পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আকারে জানান তাঁরা । ন‍্যায় বিচার পেতে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছিলেন নাবালিকার পরিবার । তবে অতদূর পর্যন্ত এগোনোর প্রয়োজন হয়নি ৷ এসপির কাছে নালিশ জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত এবং তার পরিবারকে গ্রেফতার করে বারাসত থানার পুলিশ । তাহলে কি চাপে পড়েই আত্মহত্যার 25 দিনের মাথায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হলেন আইসি ? ধৃত তিনজনকে আজ বারাসত জেলা আদালতে তোলা হয় ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details