হাড়োয়া, 14 জুন : রাতের অন্ধকারে নয় ! দিবালোকে ৷ সরকারি গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করছিল একদল ব্যক্তি । শেষে গ্রামবাসীদের তৎপরতায় ভেস্তে যায় পাচারের চেষ্টা। ঘটনাটিকে ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়ায় হাড়োয়ার মল্লিকপুর গ্রামে। চক্রের তিন অসাধু ব্যাক্তিকে এদিন হাতেনাতে ধরেন গ্রামবাসীরা। তাদের ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ আটকও করে রাখা হয়। খবর দেওয়া হয় হাড়োয়া থানায়। তবে,পুলিশ আসার আগেই গ্রামবাসীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় চক্রের এক পাণ্ডা। অপর দু'জনকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। ঘটনার পিছনে কোনও দুষ্ট চক্রের হাত থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ ৷
গ্রামবাসীরা বক্তব্য , সৌন্দর্যায়ন ও পরিবেশ রক্ষায় হাড়োয়া-বেড়াচাঁপা রোডের ধারে অসংখ্য গাছ লাগানো হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। এরমধ্যে বেশ কিছু দুর্মূল্য গাছও ছিল। যার বাজারমূল্য আকাশছোঁয়া। সেই দুর্মূল্য গাছ কেটে দিনেদুপুরে পাচারের চেষ্টা করছিলেন কিছু অসাধু ব্যাক্তি। রাস্তার ধারে প্রকাশ্যে সরকারি গাছ কাটতে দেখে এদিন সন্দেহ হয় তাঁদের। দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ফলে উঠে আসে স্থানীয় এক ব্যক্তির নাম ৷ এরপর সেই ব্যাক্তিকে গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরলে তিনি দাবি করেন , গ্রামেরই একজন অনুমতি দিয়েছিলেন গাছ কাটতে। যদিও তার নাম ও পরিচয় সঠিকভাবে জানা যায়নি ৷ ফলে তিনজনকেই আটক করে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। তবে পুলিশ আসার আগেই গ্রামবাসীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় তিনজনের মধ্যে একজন ৷ অপর দু'জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ঘটনাপ্রসঙ্গে জিয়ারুল ইসলাম নামে এক গ্রামবাসী বলেন,"এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছিল। তখনও গ্রামবাসীরা রুখে দাঁড়িয়েছিল ৷ মানুষকে খুন করলে যেমন কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তেমনই গাছকে যারা হত্যা করছে তাদেরও কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। কারণ গাছ আমাদের কাছে জীবন। তাই আমরা চাই ঘটনার পিছনে যে দুষ্টচক্র জড়িত, তাদের মাথাদেরও খুঁজে বের করা হোক। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক । "