ব্যারাকপুরে ডাকাতির ঘটনায় ডিসিপি সেন্ট্রালের বক্তব্য ব্যারাকপুর, 26 মে: সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় শুক্রবার গ্রেফতার করা হল 2 জনকে ৷ প্রথমে সন্দেহভাজন হিসেবে এই তিনজনকে আটক করা হয় ৷ তারপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় ৷ তাতেই গ্রেফতার করা হয় ৷ ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটর বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ এদিনই 14 দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে ধৃতদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম শফি খান ও জামশেদ আনসারী ৷ তবে আপাতত বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ ৷ এরপরে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন্স অনুযায়ী তদন্ত চলবে । পাশাপাশি বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে ।
এই বিষয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি সেন্ট্রাল আশিস মৌর্য বলেন, "2 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ একটা বাইক উদ্ধার করা গিয়েছে ৷ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷ আমরা নিশ্চিত ধৃত 2 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের নাম জানা যাবে ৷ ধৃতরা দুজনেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৷"
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যা 6টা নাগাদ ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন আনন্দপুরী এলাকায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে । ঘটনায় দোকান মালিকের ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান । আহত হন দোকানের মালিক ও কর্মচারী । সেই তদন্ত করতে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের তরফে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম গঠন করা হয় । তারপরই তদন্তে নেমে শুক্রবার 2 জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
এই ঘটনাটি নিয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, ব্যারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সঞ্চার হয় । জনবহুল জায়গা এবং ভর সন্ধ্যেবেলা যেভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং তাতে একজন যুবক খুন হওয়ার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা ৷ আপাতত দুজনকে গ্রেফতার দেখালেও এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে তাদের কবজায় এনে ফেলেছে বলে জানায় পুলিশ । তদন্তের অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ যেমন ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র-সহ একটি বাইক পাওয়া গিয়েছে ৷ এই ঘটনার পিছনে আর কেউ জড়িয়ে আছে কি না, সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় সোনার দোকানে চলল গুলি, মৃত মালিকের ছেলে