বারাসত, 7 সেপ্টেম্বর:বাগুইআটি অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় (Baguiati Double Murder Case) ধৃত তিন সুপারি কিলার শামিম আলি, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাসকে বুধবার পেশ করা হয় বারাসত আদালতে (Barasat District Court)। সাংবাদিকদের নজর এড়াতে এদিন তাদের তড়িঘড়ি প্রিজন ভ্যান থেকে কোর্ট লকআপে নিয়ে যাওয়া পুলিশের তরফে।
দুপুরের পর ধৃত ওই তিন সুপারি কিলারকে আদালতের সিজেএমের এজলাসে তোলা হলে বিচারক তিনজনকেই 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন (14 days Police Custody)। এই ঘটনায় ধৃত অপর এক সুপারি কিলার অভিজিৎ বসুকে মঙ্গলবারই তোলা হয়েছিল বারাসত আদালতে। তাকেও 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
আরও পড়ুন:সমন্বয়ের অভাবের মাশুল আগেও দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট !
রাজ্য-রাজনীতি এখন তোলপাড় তোলপাড় বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ড নিয়ে ৷ এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ সেই নির্দেশানুযায়ী তদন্তে হস্তক্ষেপও করেছে সিআইডি ৷ অন্যদিকে, 'সাসপেন্ড' করা হয়েছে বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে ৷ প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই তাঁকে 'ক্লোজ' করা হয়েছিল ৷ তাঁর বিরুদ্ধে এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ এই জোড়া খুন কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ জানিয়েছেন মৃত কিশোর অভিষেক নস্করের বাবা,মা ৷ তাঁদের অভিযোগ বারবার পুলিশ ঘুরিয়েছে ৷ এ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি মহিলা মোর্চা, সিপিএমও ৷ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে বিজেপিও ৷
বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে ধৃতদের 14 দিনের পুলিশি হেফাজত উল্লেখ্য, গত মাসের 22 তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর নামে দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । এরপরেই তাদের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসে। বিষয়টি নিয়ে দুই ছাত্রের পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয় । কিন্তু অভিযোগ, অপহৃত ওই ছাত্রদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কোনওভাবেই সাহায্য করেনি ৷ সোমবার রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে । মঙ্গলবার দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা তাদের দেহ শনাক্ত করেন ৷
আরও পড়ুন:সিবিআই তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হোক! আমজনতাকে আহ্বান শুভেন্দুর