কলকাতা, 10 নভেম্বর : COVID-19-এ আক্রান্ত 60 বছর বয়সি এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে। তবে, বকেয়া চিকিৎসা খরচ দিতে না পারার কারণে মৃতদেহ ছাড়া হচ্ছিল না হাসপাতালের তরফে। অগত্যা কোনও উপায় না পেয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন(WBCERC)-এ অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মৃত প্রৌঢ়ের বৃদ্ধা মা। তারপরই কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালকে দুই লাখ টাকা ছাড় দেওয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের।
কোরোনায় আক্রান্ত 60 বছর বয়সি ওই প্রৌঢ়কে 16 অগাস্ট জোকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। 28 দিন ওই হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। এই সময়কালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার বিল হয় 5 লাখ 56 হাজার 208 টাকা। এর মধ্যে 3 লাখ 22 হাজার 505 টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেন রোগীর পরিবার। তারপরও বাকি থাকে 2 লাখ 33 হাজার 208 টাকা। কিন্তু সেই বকেয়া টাকা শোধ করতে না পারায় মৃতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরই কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত ব্যক্তির মা। এরপরই কমিশনের তরফে ওই বেসরকারি হাসপাতালকে দুই লাখ টাকা ছাড়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কোরোনায় মৃতের দেহ ছাড়ছিল না হাসপাতাল, বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগে দুই লাখ টাকা ছাড়ের নির্দেশ - দুই লাখ টাকা ছাড়ের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের
বকেয়া বিল না মেটাতে পারায় কোরোনায় মৃত প্রৌঢ় ছেলের দেহ ছাড়ছিল না হাসপাতাল। অবশেষে বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগে দুই লাখ টাকা ছাড়ের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের।
WBCERC অর্থাৎ রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই নির্দিষ্ট রোগীর মেডিকেল রেকর্ড জমা করার জন্য বেসরকারি ওই হাসপাতালকে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। হাসপাতালের তরফে কমিশনে জানানো হয়, 33 হাজার টাকা ছাড় দিয়ে 5 লাখ 56 হাজার 208 টাকার বিল করা হয়েছে ওই রোগীর। যদিও, কোরোনায় আক্রান্ত ওই প্রৌঢ়র চিকিৎসার খরচ হিসাবে 5 লাখ 56 হাজার 208 টাকার বিল করা হলেও, রোগীর ওষুধের জন্য আলাদা বিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেডের জন্য প্রতিদিন সাত হাজার টাকা করে নেওয়া হলেও ডক্টরস চার্জ, সার্ভিস চার্জ সহ অন্য বিভিন্ন খরচ আলাদা ভাবে ধরা হয়। পাশাপাশি স্যানিটাইজ়েশনের জন্য প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে নেওয়া হয়।
সবশেষে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন বেসরকারি ওই হাসপাতালকে বিলের বকেয়া 2 লাখ 33 হাজার 208 টাকা থেকে 2 লাখ টাকা ছাড়া দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকি 33 হাজার 208 টাকা দেবেন রোগীর পরিবার।