বালুরঘাট, 30 এপ্রিল : NRS হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। সেই অবস্থায় হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর নাম অমল মালি (৫৮) । কী ভাবে তিনি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হলেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে রোগীর পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানান তাঁরা। তবে বিষয়টি জানা নেই বলে মন্তব্য হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের।
NRS- এ চিকিৎসারত অবস্থায় নিখোঁজ রোগী, গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের
NRS- এ চিকিৎসা চলাকালীন নিখোঁজ হলেন বালুরঘাটের এক ব্যক্তি। নাম অমল মালি।
পেশায় দিনমজুর অমলবাবুর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীশহর এলাকায়। প্রতিদিন সকালে দিনমজুরের কাজ করতে সাইকেল চালিয়ে বালুরঘাটে যান। রোজকার মতো 20 এপ্রিলও কাজের জন্য বালুরঘাটে গেছিলেন। কিন্তু, কাজ করার সময় তাঁর ব্রেনস্ট্রোক হয়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভরতি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিন (21 এপ্রিল) মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁকে রেফার করেন চিকিৎসকরা। এরপর মালদা থেকে তাঁকে NRS-এ রেফার করা হয়। ২২ এপ্রিল NRS-এ ভরতি করা হয়। ২৪ এপ্রিল (বুধবার) সকালে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। অভিযোগ, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে উলটে রোগীর পরিজনদের ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, রোগীকে যেখান থেকে পারেন খুঁজে আনুন। নাহলে আপনাদের নামে পুলিশে অভিযোগ করা হবে। ভয় পেয়ে অমলবাবুর পরিবারের সদস্যরা এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু, থানা থেকে জানানো হয়, হাসপাতালের তরফে না জানালে অভিযোগ নেওয়া যাবে না। এরপর হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে লিখিতভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান।
মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "রোগী যদি নিখোঁজ হয়ে যান তাহলে অটোমেটিক্যালি রিপোর্ট হয়ে যায়। এখানে MSVP-র বলার কিছু নেই। নিখোঁজ হয়ে গেলে রিপোর্ট করা হয়। হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়। পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।" যদিও রোগীর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অ্যাড্রেসই করে চিঠি লিখেছেন। এ প্রসঙ্গে MSVP বলেন, "এই চিঠি তো আমার কাছে আসেনি। জানি না তাঁরা কোথায় জমা দিয়েছেন।" বালুরঘাটের কোনও রোগী কি নিখোঁজ হয়েছেন? MSVP বলেন, "আমার ঠিক জানা নেই। মনে পড়ছে না।"