কলকাতা, 9 নভেম্বর: বিভাগে কোন স্তরের কোর্স করানো যেতে পারে? পাঠ্যক্রম তৈরি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেবেন কোন বিশেষজ্ঞরা? সাঁওতালি ভাষা ও নেপালি ভাষার নতুন বিভাগ গঠনে এই ধরনের একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি পরামর্শ চাইল সাঁওতালি ও নেপালি ভাষাভাষীর মানুষদের কাছেই। সংশ্লিষ্ট ভাষাভাষীর ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের 13 নভেম্বরের মধ্যে ই-মেল করে জানাতে পরামর্শ দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
সাঁওতালি ও নেপালি ভাষায় বিভাগ গঠনে পরামর্শ চাইল যাদবপুর - সাঁওতালি ও নেপালি ভাষাভাষীর পড়ুয়া
সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিতে কোন স্তরের কোর্স করানো যেতে পারে? কোন কোন বিশেষজ্ঞদের রাখা যেতে পারে? এই রকম একাধিক বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
![সাঁওতালি ও নেপালি ভাষায় বিভাগ গঠনে পরামর্শ চাইল যাদবপুর Jadavpur University](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-03:58:04:1604917684-wb-kol-01-ju-invites-suggessions-from-santhali-nepali-speaking-students-researchers-and-faculty-members-7204411-09112020155721-0911f-1604917641-607.jpg)
কলকাতা শহরের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ঠাঁয় পায়নি উপজাতিদের প্রান্তিক ভাষা "সাঁওতালি"। অবশেষে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহর কলকাতায় আসা সাঁওতালি ছাত্র-ছাত্রী, গবেষকদের নিজের ভাষা নিয়েই উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, সাঁওতালি ভাষার পূর্ণাঙ্গ বিভাগ চালু করার। আবেদন মঞ্জুর হতেই কোমর বেঁধে সেই কাজে নেমেও পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। গড়া হয় কমিটি। সেই কমিটিতে রয়েছেন তুলণামূলক সাহিত্য, বাংলা, ইংরেজি ও সংস্কৃত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা। রয়েছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা মেরুনা মুর্মু ও ফিল্ম স্টাডিজ়ের অধ্যাপিকা শ্রদ্ধাঞ্জলি তামাং। তবে, শুধু সাঁওতালি ভাষা ও সাহিত্যের পূর্ণাঙ্গ বিভাগ নয়, একইসঙ্গে নেপালি ভাষা ও সাহিত্যের পূর্ণাঙ্গ বিভাগও চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে এই কমিটি।
সম্প্রতি সাঁওতালি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং নেপালি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ চালুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত এই কমিটির তরফে সকল সাঁওতালি ও নেপালি ভাষাভাষীর ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে একাধিক বিষয়ে। প্রথমত, সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিতে কোন স্তরের কোর্স করানো যেতে পারে, দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির পাঠ্যক্রম তৈরি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে পরামর্শ দেওয়ার জন্য কোন কোন বিশেষজ্ঞদের রাখা যেতে পারে সেই নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কোনও বডি বা সংস্থার সঙ্গে কোলাবরেশন করা যেতে পারে কিনা বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্য কোনও পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে বলা হয়েছে।
সাঁওতালি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জন্য পরামর্শ ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা মেরুনা মুর্মুকে ই-মেল করে পাঠাতে বলা হয়েছে। নেপালি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি তামাংয়ের কাছে ই-মেল করে পাঠাতে বলা হয়েছে পরামর্শগুলি। 13 নভেম্বরের মধ্যে ই-মেল করে জানাতে পারবেন আগ্রহীরা।