লক্ষ্য নির্ভুল ভোটার তালিকা, কাল জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশন
সামারি রিভিশনের কাজের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চলবে 5 জানুয়ারি পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে 15 জানুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। বৈঠকটি হবে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে।
কলকাতা, 10 নভেম্বর : কোরোনাকালে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে অনেক। সেই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তৈরি করতে হবে নির্ভুল ভোটার তালিকা। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যা কমিশনের কাছে প্রথম শর্ত। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের নেতৃত্বে করবে জেলা প্রশাসন। কীভাবে এবার সেই কাজ হবে তা বুঝিয়ে দিতেই আগামীকাল রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, 18 নভেম্বর শুরু হচ্ছে ভোটার লিস্টের নাম তোলার কাজ। বিশেষ সংশোধনীর(সামারি রিভিশন) কাজ চলবে 15 ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার আগে প্রকাশিত হবে ভোটার লিস্টের খসড়া তালিকা। সামারি রিভিশনের সময় ধারাবাহিকভাবে চলবে নাম তোলা, বাদ দেওয়ার আবেদন গ্রহণ এবং শুনানি। সামারি রিভিশনের কাজের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চলবে 5 জানুয়ারি পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, 15 জানুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। সব ঠিক থাকলে এই তালিকাতেই হবে বিধানসভা নির্বাচন। তবে সামারি রিভিশনের পরেও ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ নিয়মমতো চলবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সামারি রিভিশন চলার সময় প্রতি শনি এবং রবিবার হবে বিশেষ ক্যাম্প।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামারি রিভিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে সামারি রিভিশনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্যতম স্টেকহোল্ডার হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সামারি রিভিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই সূত্রেই সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব বক্তব্য পেশ করে কমিশনের সামনে।
এই মুহূর্তে রাজ্যে রয়েছে 78,903টি বুথ। BJP, CPI(M) এবং কংগ্রেসের মতবিরোধিতা সর্বদল বৈঠকে দাবি করে, অতীতে দেখা গেছে রাজ্যের সব বুথে লেভেল অফিসাররা নিয়মমতো বসেন না। ফলে তালিকায় নাম তোলা এবং নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে নানান রকম সমস্যা তৈরি হয়। বিরোধীরা দাবি জানায়, রাজ্যের সবকটি বুথে যাতে বুথ লেভেল অফিসার ঠিকমতো কাজ করেন সেটা দেখা কমিশনের দায়িত্ব। ভূতুড়ে ভোটারদের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে দেখতে হবে। কোনও অজুহাতে যেন কোনও ভোটারের নাম না বাদ যায় সেটা দেখতে হবে। মালদা-মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ভাঙনের জেরে ভোটারদের ঠিকানা পালটে যাচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে BLOদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা রাজ্যের সবকটি বুথে BLO হিসেবে নিয়োগ করতে হবে সরকারি কর্মীদের। কোনও অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করানো যাবে না।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে উঠে আসা দাবি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাদের মূল্যবান বক্তব্যের বিষয়গুলোও জেলাশাসকের কাছে জানানো হবে। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিও শুরু করে দেওয়া হবে কয়েক দিনের মধ্যে। শুরু হয়ে যাবে EVM-র ফার্স্ট লেভেল চেকিং। এই বিষয়টি নিয়েও কালকে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। তবে পুরো বৈঠকটি হবে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে।