পুরুলিয়া, 12 ডিসেম্বর : জঙ্গলের ভিতর দিয়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ৷ হেঁটে পেরোতে হয় নদী ৷ পাশাপাশি গ্রামে যেতে গেল এই রাস্তাই ভরসা পুরুলিয়ার আড়ষা থানা এলাকার বীরচালি, বামুনডিহা, গৌরদাগ ও বীরডি সহ একাধিক গ্রামের মানুষের ৷
জঙ্গলের ভিতর দিয়ে মেঠো রাস্তা দিয়ে এভাবেই চলে যাতায়াত পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র 18 কিলোমিটার দূরে বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের উত্তর ও দক্ষিণ রয়েছে কংসাবতী নদীতে ঘেরা ৷ নদী পেরিয়ে জঙ্গল ৷ জঙ্গল পেরিয়ে ফাঁকা পাথুরে মাঠ ৷ নেই কোনও ভালো রাস্তা, নদী পেরোনোর জন্য নেই কোনও সেতুও ৷ গ্রামে কোনও গাড়িও ঢুকতে পারে না ৷ অসুস্থদের দোলায় করে নদী পার করানো হয় ৷ তারপর দোলাতেই নিয়ে যাওয়া হয় তিন কিলোমিটার দূরে পাকা রাস্তায় ৷ সেখান থেকে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৷ এছাড়া, নিত্য প্রয়োজনে, স্কুল, বাজার-হাট, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের কাজ, যেকোনও প্রয়োজনে এভাবেই সেনাবনা যেতে হয় গ্রামবাসীদের ৷
এভাবেই রাস্তা পেরোতে হয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত, BDO দপ্তর, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে জেলাশাসক দপ্তরেও বারবার লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি ৷ গ্রামবাসীরা জানান, বীরচালি থেকে সেনাবনা পর্যন্ত কোনও রাস্তা নেই ৷ হেঁটে জঙ্গল, মেঠো পথ, দু'টি নদী পেরিয়ে সেনাবনা যেতে হয় ৷ সমস্ত প্রয়োজনে এভাবেই যাতায়াত করতে হয় ৷ গ্রামে বড় কোনও গাড়ি ঢুকতে পারে না ৷ অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না ৷ অসুস্থদের দোলা করে নিয়ে যেতে হয় তিন কিলোমিটার ৷ সব জায়গায় লিখিত আবেদন জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি ৷
নেই কোনও ভালো রাস্তা ৷ কীভাবে যাতায়াত করছেন পুরুলিয়ার এই গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ হলধর মাহাত বলেন, "জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় রাস্তা তৈরি করে ওঠা সম্ভব হয়নি ৷ বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি পরিদর্শনে শীঘ্রই যাব ৷ সমস্যার সমাধান করে অবশ্যই রাস্তা ও সেতুর নির্মাণ করা হবে ৷"