পুরুলিয়া, 30 অগাস্ট : খাতা-কলমে পড়ুয়ার সংখ্যা চার । কিন্তু, বাস্তব বলছে অন্য কথা । দীর্ঘদিন ক্লাসরুম শূন্য । মাস্টারমশাইরা নিয়ম করে স্কুলে আসেন, সারাদিন চুপচাপ বসে থেকে বিকেল হতেই চলে যান । সরকারি খাতায় নথিভুক্ত থাকলেও পুরুলিয়ার 14 নম্বর ওয়ার্ডের নীলকুঠিডাঙার উর্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাটা ঠিক এমনই ।
হাওয়ারি মসজিদ কমিটির একটি ঘরে কোনও অস্থায়ীভাবে চলছে স্কুলটি । একটিমাত্র ঘর, সেখানেই ক্লাসরুম, সেখানেই অফিসঘর । অভিযোগ, বারবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা সত্ত্বেও তৈরি হয়নি কোনও শৌচালয় । স্কুলে নেই মিড ডে মিলের কোনও পরিকাঠানো । ফলে ধীরে ধীরে শুন্যে এসে দাঁড়ায় পড়ুয়া সংখ্যা ।
মসজিদের একটি ঘরেই চলছে স্কুল বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আব্বাস বলেন, "মিড ডে মিলের পরিকাঠামো না থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানোর পরই বন্ধ হয়ে যায় অর্থ বরাদ্দ । কমে যায় পড়ুয়ার সংখ্যাও । এখন আমরা সময় মতো স্কুলে আসি । সারাদিন কাটানোর পর বিকেল চারটে বাজলেই বাড়ি চলে যাই ।"
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আব্বাসের বক্তব্য স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "স্কুলের পরিকাঠামোর কোনও ঠিক নেই । ঠিকমতো পড়াশোনাও হয় না । তাই কোনও অভিভাবকই ছেলে-মেয়েদের এই স্কুলে ভরতি করান না ।"
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক আলোক মহাপাত্র বলেন, "ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম রয়েছে বলে শুনেছি । কিছুদিনের মধ্যেই একজন শিক্ষককে অন্য স্কুলে বদলি করে দেওয়া হবে । পড়ুয়ারা না আসলে অপর শিক্ষককেও বদলি করে দেওয়া হবে ।"