পুরুলিয়া, ৯ জুন : কোরোনা আবহে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পুরুলিয়া জেলার আখচাষিরা । মুখ থুবড়ে পড়েছে কমবেশি শতাধিক গুড় তৈরির কারখানা । লকডাউন খুললেও উৎপাদিত আখ বেশি রপ্তানি হচ্ছে না ভিনরাজ্যে ও ভিনজেলায় । বর্তমানে আখের গুড়ের চাহিদাও কমেছে । ফলে আখের ফলন ভালো হলেও, উৎপাদিত এই আখ বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা । এমনকী আখের গুড়ও বাইরে রপ্তানি না হওয়ায় সস্তা দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা । কেউ আবার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আখ চাষ করেছেন । সেই ঋণ শোধ করবেন কিভাবে ? কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন মূলধন ? সংসার চলবেন কী করে ? এইসব প্রশ্নে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলার আখ চাষিদের কপালে । প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে তারা এখন তাকিয়ে সরকারি সাহায্যের দিকে ৷
পুরুলিয়া জেলার আড়ষা ব্লকের সিরকাবাদ এলাকায় আখচাষ বিখ্যাত । এলাকার বেশিরভাগ চাষিরা আখ চাষ করে থাকেন । চাষিদের একমাত্র ভরসা আখ চাষ ও গুড় কারখানার উপর । রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তো বটেই ভিনরাজ্যেও এই আখের চাহিদা ব্যাপক । এছাড়াও এই সিরকাবাদ এলাকাতেই রয়েছে শতাধিক গুড় তৈরির কারখানা । বাজারে উৎপাদিত আখ থেকে তৈরি হওয়া গুড়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক । কিন্তু আখের ফলন তোলার সময়ই হঠাৎ কোরোনা মোকাবিলায় জারি হয়ে যায় লকডাউন । এই দীর্ঘ লকডাউনে যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ থাকায় উৎপাদিত আখ বাইরের জেলায় বা ভিন রাজ্যে পাঠাতে পারেনি চাষিরা । এমনকী সেই আখ থেকে গুড় প্রস্তুত করে রাখলেও সেই গুড় লকডাউনের প্রভাবে বাজারে বিক্রি করতে পারেননি তাঁরা । বর্তমানে লকডাউন খুললেও উৎপাদিত সেই আখ ও গুড়ের চাহিদা নেই । ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন পুরুলিয়া জেলার আড়ষা ব্লকের সিরকাবাদ এলাকার আখচাষিরা । ফলন ভালো হলেও আখ বিক্রি করতে না পারায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষীদের । তাই সিরকাবাদ এলাকার আখচাষিরা এখন তাকিয়ে সরকারি সাহায্যের দিকে ।