কলকাতা, 13 জুন : একদিকে সমগ্র বিশ্ব COVID-19 এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। কথায় আছে, কোনও ভালো কাজ বৃথা যায় না। এক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। সম্প্রতি কোরোনা আবহে আদিবাসীদের নিয়ে করা কাজকর্মের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেল এই বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগে প্রকাশিত বুকলেটে প্রায় পাঁচপাতা জায়গা জুড়ে রয়েছে আদিবাসীদের নিয়ে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকলাপের তথ্য ও ছবি।
কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (DST) অধীনে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনোভেশন হাব রয়েছে। মোট 20টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামকে টার্গেট করা হয়। বিগত এক বছর ধরে এই হাব থেকে গ্রামগুলির উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কোরোনা আবহে আদিবাসীদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইমিউন ভিলেজ তৈরি, যোগা প্রশিক্ষণ শিবির, আদিবাসীদের দিয়ে বনৌষধি ভিলেজ তৈরির লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি, তাঁদের মধ্যে COVID-19- স্বাস্থ্যবিধি, ব্যক্তিগত হাইজিন নিয়ে সচেতনতাও তৈরি করতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ত্রাণ সামগ্রী, মাস্ক, স্যানিটাইজারও বিলি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসীদের জন্য কাজ করার স্বীকৃতি পেল সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়।
COVID-19 সচেতনতায় সিডিউলড কাস্ট ও ট্রাইবের শক্তি এবং সহনশীলতা বৃদ্ধির কাজ নিয়ে একটি বুকলেট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের সিধো-কানহো-বিরসার কাজকর্মের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে প্রায় পাঁচ পাতা জুড়ে।