পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

গ্রামে ফিরে গাছতলাতেই কোয়ারানটিনে পুরুলিয়ার পরিযায়ী শ্রমিকরা

বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরেছেন পুরুলিয়ার পরিযায়ী শ্রমিকরা । অনেকের বাড়িতেই পর্যাপ্ত ঘর নেই। তাঁরা বাড়ির কথা মাথায় রেখে গাছতলায় তাঁবু খাটিয়ে কোয়ারানটিনে রয়েছেন।

Purulia
Purulia

By

Published : Jun 7, 2020, 11:46 AM IST

পুরুলিয়া, 7 জুন : জেলায় ফিরে গ্রামের অদূরে অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ও গাছের তলায় কোয়ারানটিনে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা l বাড়ির লোকেরা পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে খাবার ও পানীয় জল। আর তা দিয়েই কাটছে দিন l কখনও তীব্র গরম, কখনও কালবৈশাখি ঝড়, সবকিছু উপেক্ষা করে 14 দিন এইভাবেই কাটছে তাঁদের l

পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা ব্লক, পাড়া ব্লক, বান্দোয়ান ব্লক, আড়ষা সহ একাধিক ব্লকে দেখা যাচ্ছে এরকমই ছবি l প্রান্তিক পুরুলিয়ার মানুষ যে কতটা সচেতন তা আরও একবার প্রমাণ করছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা l শ্রমিকদের এই সচেতনতাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অন্যান্যরা l

লকডাউনের সময় পুরুলিয়া জেলার প্রায় 30 হাজারেরও বেশি শ্রমিক ইতিমধ্যে পুরুলিয়ায় ফিরেছেন l প্রাথমিক চিকিৎসার পর কেউ রয়েছেন সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারগুলিতে। বেশিরভাগ রয়েছেন হোম কোয়ারানটিনে l কিন্তু সব পরিবারের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত থাকার ঘর না থাকায় গ্রামের স্কুল, হাসপাতাল, অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বা গাছতলাতেই 14 দিন কোয়ারেনটিনে রয়েছেন l এরকমই এক দৃশ্য দেখা গেল পুরুলিয়ার পুঞ্চা ব্লকের নপাড়া গ্রামের অদূরে ল

এই গ্রামের বেশ কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পুরুলিয়ায় ফিরেছেন l জেলায় ফিরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিজেদের ইচ্ছেয় তাঁবু কাটিয়ে কোয়ারানটিনে রয়েছেন l শুধুমাত্র পরিবার ও গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই কোয়ারানটিনে রয়েছেন তাঁরা l

পরিযায়ী শ্রমিক বিপত্তারণ মাহাতো, স্বপন ভূইঞারা বলেন, "নিজেদের উদ্যোগে কেউ ট্রাকে, কেউ হেঁটে, কেউ আবার অন্যান্য মাধ্যেমে সম্প্রতি পুরুলিয়ায় ফিরেছেন l জেলায় ফিরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা । কিন্তু বাড়িতে থাকার জায়গা না থাকায় গ্রামের অদূরে অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বা কেউ গাছতলায় 14 দিন কোয়ারানটিনে রয়েছি l প্রতিদিন বাড়ি থেকে খাবার ও পানীয় জল এখানে দিয়ে যায় l কিন্তু সমস্যা হয় কালবৈশাখি ঝড় বা অতিরিক্ত গরমের সময় l কিন্তু কষ্ট হলেও উপায় নেই l পরিবার ও সদস্যদের কথা ভেবে এভাবেই থাকতে হবে l"

শ্রমিকদের এই সচেতনতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা l জগন্নাথ নন্দী বলেন, "সত্যি এটা খুব ভালো উদ্যোগ l এর থেকে সকলকেই শিক্ষা নেওয়া উচিত l কারণ মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে কোরোনাকে ঠেকানো যাবে না l গ্রামবাসীরাও মাঝে মাঝে এখানে এসে দূর থেকে তাঁদের সুবিধা অসুবিধার খোঁজ খবর নিয়ে যান l কোনও জিনিসের প্রয়োজন হলে আমরা ব্যবস্থা করে দিই l"

ABOUT THE AUTHOR

...view details