পুরুলিয়া, 8 ফেব্রুয়ারি : আবার অযোধ্যা পাহাড়ে ভারি বুটের শব্দ ৷ নিয়মিত চলছে পুলিশের টহলদারি, কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা পাহাড় ৷ তবে এই নিরাপত্তা শুধুমাত্র পর্যটকদের মন থেকে মাওবাদী আতঙ্ক কাটাতেই নয়, পর্যটকদের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে এবং দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ রুখতেই এবার থেকে পাহাড়ে লাগাতার চলবে পুলিশি টহলদারি, জানালেন জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান ৷
আবার অযোধ্যা পাহাড়ে ভারি বুটের শব্দ, বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা - Fear of Maoists
একদা জঙ্গলমহলের প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়া ছিল মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা ৷ বিশেষ করে ঘন জঙ্গলে ঘেরা অযোধ্যা পাহাড়েই মূল ঘাঁটি ছিল মাওবাদীদের ৷ বর্তমানে সেই আতঙ্ক কাটিয়ে অযোধ্যা পাহাড়ে আসা যাওয়া বেড়েছে পর্যটকদের ৷ নিরাপত্তা বাড়াতে নিয়মিত চলছে পুলিশের টহলদাড়ি ৷ কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে পাহাড় ৷
এক সময়ে জঙ্গলমহলের প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়া ছিল মাওবাদী অধ্যুষিত ৷ বিশেষ করে ঘন জঙ্গলে ঘেরা অযোধ্যা পাহাড়েই মূল ঘাঁটি ছিল মাওবাদীদের ৷ সেই সময় অযোধ্যা পাহাড় থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন পর্যটকরা ৷ তবে তা এখন অতীত ৷ এখন আর সেই আতঙ্ক নেই ৷ বর্তমানে সেই আতঙ্ক কাটিয়ে অযোধ্যা পাহাড়ে আসা যাওয়া বেড়েছে পর্যটকদের ৷ পাহাড়ে আসা বাইরের রাজ্য থেকে এবং বাইরের জেলার মানুষদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি সমস্ত রকম দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ রুখতে চলছে পুলিশের টহলদারী ৷
পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান জানান, "অযোধ্যা পাহাড় বর্তমানে একটা শান্তির জায়গা ৷ বহু পর্যটক রোজই আসছেন পাহাড়ে ৷ তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং তাদের স্বস্তি দিতে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে পাহাড় ৷ একইসঙ্গে এবার থেকে লাগাতার পুলিশের টহলদারিও চালানো হবে ৷" অন্যদিকে, মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত জানান, "বর্তমান সরকার অযোধ্যা পাহাড়কে একেবারে সাজিয়ে তুলেছে ৷ বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা ৷ তবে, তাদের নিরাপত্তার দিকটাও ভাবা হচ্ছে ৷ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে ৷"