পুরুলিয়া, 3 ডিসেম্বর:ঝালদা পৌরসভায় (Jhalda Municipality) চেয়ারম্যান নিয়োগ করল পৌর বিভাগ । ঝালদা পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) হাতছাড়া হওয়ার পরই শোনা যাচ্ছিল যে চেয়ারম্যান নিয়োগ করবে সরকার । সেই পরিকল্পনা মাফিক তলবি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার সাতদিনের মধ্যে পদত্যাগ করেন উপ-পৌরপ্রধান । আর তারপর আজ বিরোধী দলের কাউন্সিলররা পৌর বোর্ড গঠন নিয়ে সভা ডাকেন ৷ কিন্তু তার আগেই শুক্রবার রাতে এই সংক্রান্ত এক নির্দেশিকা প্রকাশিত হয় ৷ পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন ও ঝালদা পৌরসভাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ঝালদা পৌরসভায় জবা মাছোয়ারকে(Jaba Macchowar) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে ।
তবে নির্দেশিকা অনুযায়ী যতদিন না ঝালদায় নতুন পৌরপ্রধান নিযুক্ত হচ্ছে ততদিন চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করবেন জবা মাছোয়ার ৷ তিনি 10 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী কাউন্সিলর । এই নিয়োগের বিরোধিতা করে কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গিয়েছে । এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ঝালদা পৌরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু বলেন, "তৃণমূলের ঘৃণ্য রাজনীতি ও চক্রান্ত মানুষ সব দেখছেন এবং সকলের কাছে এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হচ্ছে ।
ঝালদা পৌরসভায় চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রসঙ্গত, গত 13 অক্টোবর ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীরা। নিয়ম অনুযায়ী অনাস্থা আনার 15 দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হয় পৌরপ্রধানকে। কিন্তু তা না হওয়ায় ঝালদা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকারের কাছে আবেদন করে বিরোধীরা। তিনি 21 তারিখ আস্থা ভোটের কথা জানান (Jhalda Municipality no confidence motion)। দ্রুত আস্থা ভোট চেয়ে 4 নভেম্বর নোটিশ জারি করেছিলেন ঝালদা পৌরসভার ও বিরোধী কাউন্সিলর। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতেই 21 নভেম্বর ভোট করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ।
আরও পড়ুন:ঝালদা পৌরসভায় বোর্ড গঠন, রাজ্যপালের সাহায্য চাইলেন অধীর
উল্লেখ্য, গত 21 নভেম্বর ঝালদা পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে অনাস্থা ভোটে হারিয়ে পদ থেকে সরান কংগ্রেসের 5 কাউন্সিলর । যেখানে 2 নির্দল কাউন্সিলর কংগ্রেসকে সমর্থন জানান। বাকি 5 তৃণমূল কাউন্সিলর আস্থা ভোটে হাজির হননি। ফলে কংগ্রেস 2 নির্দলের সমর্থনে পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার দখল নেয় । সিভি আনন্দ বোস বাংলার রাজ্যপাল পদে শপথ নেওয়ার পরেই, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয় । যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরেও, রাজ্যের শাসকদল চক্রান্ত করে তাদের ঝালদা পৌরসভায় বোর্ড গঠনে বাধা দিচ্ছে । আর এরপরেই নিযুক্ত করা হল চেয়ারম্যান ৷