পুরুলিয়া, 2 জুন : লকডাউন উঠতেই আবার সক্রিয় হয়ে উঠল বালি মাফিয়ারা । অবৈধভাবে কংসাবতী নদী থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে শ'য়ে শ'য়ে ট্রাক্টর বোঝাই বালি । এরই প্রতিবাদে এবার সরব হলেন পুরুলিয়া মফস্বল থানার গাড়াফুসড় গ্রামের বাসিন্দারা । আজ আটক করা হয় 40 টিরও বেশি বালি বোঝাই ট্রাক্টর । ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় ।
কংসাবতী নদীঘাট থেকে বর্তমানে বালি তোলা নিষিদ্ধ থাকলেও কিভাবে বালি চুরির ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । খবর পেয়ে স্থানীয় BDO আটক ট্রাক্টরগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বছরের পর পর বছর ধরে কংসাবতী নদীঘাট থেকে বালি চুরি করে আসছে বালি মাফিয়ারা । এর আগে স্থানীয় পুলিশ প্রসাশনকে জানান হলেও কোন লাভ হয়নি । প্রতিদিন শ'য়ে শয়ে বালি পাচার হয় এলাকা থেকে । যে স্থানে জলসংযোগ দেওয়া হয় সেই স্থান থেকেই বালি চুরি করে থাকে মাফিয়ারা । অথচ হুশ নেই পুলিশ প্রশাসনের ।
তারা আরও জানায়, এই কংসাবতী নদীঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে গাড়াফুসড় গ্রামের রাস্তা দিয়ে পাচার করে থাকে বালি মাফিয়ারা । এমনকী, প্রতিদিন শ'য়ে শ'য়ে বালি বোঝাই ট্রাক্টর চলার ফলে রাস্তার অবস্থাও বেহাল হয়ে পড়েছে । জেলা প্রশাসনের কাছে খবর দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবার এলাকার যুবকেরা এদিন পথে নামেন ।
গ্রামবাসীদের দাবি, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে ট্রাক্টরগুলি ছাড়া হবে না । এ বিষয়ে পুরুলিয়া 1 নম্বর ব্লকের BDO দিব্যজ্যোতি দাস জানান, "আমাদের কাছে খবর রয়েছে বেশ কয়েকটি বালি বোঝাই ট্রাক্টরকে আটক করেছে গাড়াফুসড় গ্রামের বাসিন্দারা । বর্তমানে নদীঘাট থেকে বালি তোলা একেবারে নিষিদ্ধ । তার মধ্যেও কীভাবে বালি চুরির ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখা হবে । ইতিমধ্যে স্থানীয় থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে । ঘটনাস্থানে গিয়ে আটক ট্রাক্টরগুলির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে । আগামীদিনে এলাকায় নজরদারিও চালানো হবে ।"
এছাড়াও তিনি আরও জানান, "এলাকা থেকে প্রায়ই বালি চুরির অভিযোগ আসছে । ওই এলাকা থেকে বালি তোলা একেবারেই নিষিদ্ধ । পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে । আটক করা হয় ট্রাক্টরগুলিকে, জরিমানাও করা হয় । কিন্তু তার মধ্যেও বালি চুরি হয়ে যাচ্ছে ।"