পুরুলিয়া, 13 মার্চ : প্রতি বছর যে জলাশয়ে কালীমূর্তি নিরঞ্জন হয়, সে জলাশয়ে নিরঞ্জনে আপত্তি জানায় মালিক । যার পর থেকে আটকে ছিল কালীমূর্তির নিরঞ্জন । আদালতের নির্দেশে অবশেষে চার মাস পর জলাশয় পেল কালীমূর্তি । নিরঞ্জন হল সাড়ম্বরে ।
আদালতের নির্দেশে 4 মাস পর প্রতিমা নিরঞ্জন
চার মাস পর জলাশয় পেল কালীমূর্তি । নিরঞ্জন হল সাড়ম্বরে ।
পুরুলিয়া শহরের ভাগাবাঁধ পাড়ায় বিগত 68 বছর ধরে মাতৃসেবক কালীপুজো কমিটির সদস্যরা পুজো করে আসছেন । যে জলাশয়ে কালীপ্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়া হয় সেই পুকুরটি এবং যে স্থানে কালী পুজো হয় সেই স্থানটির মালিক এলাকারই বাসিন্দা শান্তি দে । কিন্তু এবারের কালীপুজোর নিরঞ্জনের সময় ওই জলাশয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনে বাধা দেন তিনি । বেরা দেওয়া পুকুরটির মূল গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয় । 30 অক্টোবর প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে ঝামেলা হয় জলাশয়ের মালিক ও পুজো কমিটির সদস্যদের মধ্যে । পুজো কমিটির পক্ষে স্থানীয় সদর থানায় অভিযোগ জানালেও কিছু লাভ হয়নি । ফলে পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিরঞ্জন না করে ওই স্থানেই কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে দেন । তারপরই জলাশয়ের মালিক শান্তি দে উচ্চ আদালতে মাতৃসেবক সংঘ নামে ওই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করে । এতদিন অস্থায়ী প্যান্ডেল খাটিয়েই রাখা হয়েছিল কালী মূর্তি । নিয়মিত হত পুজো । পুজো কমিটির উদ্যোক্তারাও জেদ ধরেছিল কালী পুজো নিরঞ্জন যদি করতে হয় তাহলে ওই পুকুরেই হবে, না হয় নিরঞ্জন হবে না ।
সাড়ে তিন মাস পর ফেব্রুয়ারি মাসে উচ্চ আদালতের সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়, "অবিলম্বে ওই স্থান থেকে কালী প্রতিমা সরিয়ে ফেলতে হবে পুজো কমিটিকে । পুলিশি ব্যবস্থাপনার খরচ বহন করতে হবে মামলাকারীকে ।" আদালত এই নির্দেশের এর পরই পুজো কমিটিকে আইনি নোটিশ পাঠায় প্রশাসন । অবশেষে কালী পুজোর সাড়ে চার মাস পর আদালতের নির্দেশে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় নিরঞ্জন প্রতিমার ৷