পুরুলিয়া, 19 নভেম্বর: বিয়ের চার মাসের মাথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক বধূর (Suspicious Death of Young Woman) । মৃতের নাম কুন্তি মাহাতো ৷ বয়স 18 বছর ৷
জানা গিয়েছে, মেয়ের বাবা তাঁর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে জানতে পারেন মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছেন ৷ কিন্তু সকালেই মেয়ে তাঁকে জানিয়েছিল যে তিনি বাপের বাড়ি যেতে চান ৷ তাঁর বাবা যেন তাঁকে নিতে লোক পাঠান ।
পুরুলিয়া জেলার আড়ষা থানা এলাকার চিটিডি গ্রামে মেয়েটির বাবার বাড়ি ৷ কী এমন ঘটল, মেয়ে আত্মহত্যা করলেন ৷ এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বাবা ভদ্রেশ্বর মাহাতো বলেন, "মাস চারেক আগে পুরুলিয়ার জয়পুর থানার প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দা সমীর মাহাতোর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয় । কিন্তু বিয়ের সময় নগদ টাকা পয়সা কিছু দিতে না-পারায় মেয়েকে কথা শুনতে হত । মেয়ের কাছ থেকে সেকথা জানতে পেরে আমি 85 হাজার টাকা দিই । কিন্তু তারা তাতেও সন্তুষ্ট ছিল না ৷ তাদের দাবি ছিল, একটি বাইক ও দু'ভরি সোনা ।"
তিনি আরও বলেন, "আমি সেগুলি দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলাম । কিন্তু গত মাসের 24 তারিখ সকাল 8টা নাগাদ আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে যে বাবা তুমি লোক পাঠাও, আমি বাড়ি যাব । এর পর প্রায় 11টা নাগাদ একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে ৷ নিজেকে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পরিচয় দেন ফোন করা ব্যক্তি ৷ এরপর লোকজন নিয়ে মেয়ের বাড়ি যেতে বলা হয় আমাকে । প্রায় সাড়ে 12টা নাগাদ সেখানে পৌঁছে আমি মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই । তাদের দাবি, সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করলে আমার কুন্তিকে মরতে হত না ।"
আরও পড়ুন:চুরি করতে এসে নোটের বান্ডিলকে চুমু খেল চোর, সঙ্গে করল প্রণামও; দেখুন ভিডিয়ো
শুক্রবারই এই বিষয়ে জয়পুর থানায় বধূর স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর ও জা-এর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে (Suspicious Death of Newly Weds) । পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে । এরপরই বধূ নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী সমীর মাহাতো ও শাশুড়ি পবিতা মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Husband and mother in law arrested) ৷ তাদের আদালতে তোলা হলে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।